রমযান মাস শেষ। তবে এর ইবাদতের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার সুবিধার্থে এই মাসে(শাওয়াল) রয়েছে ৬টি মুস্তাহাব(সুন্নাত) রোযা। রমযানের সব রোযা রাখার পর এই ৬টি রোযা রাখার মাধ্যমে অর্জিত হবে সারা বছর রোযা রাখার সাওয়াব। কীভাবে?
মহিমান্বিত কাদরের রাতটি শুধুমাত্র ২৭ তারিখেই আসবে তা নির্ধারিত নয়। আল্লাহর হিকমত ও তাঁর ইচ্ছায় এটি শেষ দশ রাতের যে কোন রাতেই হতে পারে। তবে বিজোড় রাতগুলোতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তাছাড়া, এ রাতের কিছু আলামত সহীহ হাদীসে[১] এসেছে। আলামতগুলো শেষ দশ রাতগুলোর মধ্যে যে রাতের সাথে মিলে যাবে সে রাতটিকে কদরের রাত বলে ধারণা করা যেতে পারে। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাতা। [১] সহীহ ইবনু খুযাইমাহ- ২১৯০, বুখারী ২০২১, মুসলিম- ৭৬২
আল্লাহ্ সুবাহানাহু তা’আলার অশেষ মেহেরবানীতে আমরা রমযানের শেষ দশকের দ্বার প্রান্তে এসে পৌঁছেছি। মহিমান্বিত কদরের রাতকে সামনে রেখে করতে হবে অনেক পরিকল্পনা। তাছাড়া রমযানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে রাসূল ﷺ যে পরিমাণ আমল করতেন অন্য কোনো সময় এত বেশী আমল করতেন না। আসুন, জেনে নেই এই সময়ের জন্য করণীয় কিছু আমল।
বর্তমানে ইন্টারনেটে গুনাহ করা একটা ক্লিক এর ব্যাপার হয়ে গেছে। অনেকের ক্ষেত্রে এই গুনাহ পরিণত হয়েছে অ্যাডিকশনে, যা আমাদের ব্রেইনে অনেকটা হিরোইন এবং কোকেইনের মত কাজ করে। . সাধারণত অন্য মাসগুলোতে এই গুনাহে জড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকলেও রমযান মাসে একটি ইবাদতমুখর পরিবেশ বিরাজ করায় আমরা খুব সহজেই এই সকল গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি, যা পরবর্তিতে গুনাহগুলো থেকে পুরোপুরি পরিত্রাণ পাবার জন্য সহায়ক হবে। ইনশাআল্লাহ।
রিযিক নিয়ে আমাদের চিন্তার অন্ত নেই। আমাদের অনেকেরই জীবন কেটে যায় এই রিযিক নিয়ে পেরেশানিতে। আসুন জেনে নেই, এমন ৭টি আমল যা পালন করলে আল্লাহ্ সুবাহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের রিযিক বাড়িয়ে দিবেন।
আপনি কখনো শুনবেন যে, “ইমাম মাহদীর” আবির্ভাব হয়ে গেছে। আবার কখনো শুনবেন যে, হহুদী খীস্টানদের বিরুদ্ধে ঘটিতব্য বিশ্বযুদ্ধ অতি সন্নিকটে এসে পড়েছে। আবার কখনো শুনবেন, কেয়ামতের আলামতস্বরূপ প্রাচ্যে বা পাশ্চাত্যে বড় ধরনের ভূমিধ্বস ঘটেছে। এমন আরো অনেক কিছু। এসব কারণে মানুষের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির প্রবল আশংকা দেখা দেয়। তাই আমাদের উচিত কেয়ামতের আলামতসমূহকে ব্যাখাবিশ্লেষণসহ স্পষ্টরূপে জানা। বইঃ মহাপ্রলয়- বিশ্ব যখন ধ্বংস হবে লেখকঃ ড. আব্দুর রহমান আরিফী বইটি অর্ডার করতে ভিজিট করুন: https://bit.ly/2WDy7C3
আমাদের অনেকেই হীনমন্যতা এবং হতাশায় ভুগে। যদি জিজ্ঞাস করা হয়, ভাই আপনি কেন এতো হতাশ? সে হয়তো বলবে, ‘আমি বেকার’। কোনো চাকরী পাচ্ছি না। বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন কেউ আমাকে ভালোবাসেনা। অথবা বলবে অমুকের সাথে আমার পরিচয় ছিল। সে জীবনে সফলতার সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ করেছে। তার দ্বারা সেখানে পৌছা সম্ভব হলেও আমার পক্ষে তা সম্ভব নয়। আমি চরম ব্যর্থ। কোথাও সফলতার মুখ দেখছি না। … এমন ব্যর্থতা ও হতাশায় জর্জরিত নানা কাহিনী আমরা মানুষের কাছ থেকে শুনি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কি? . . বইটি অনলাইনে অর্ডার করতে ভিজিট করুন- হুদহুদ প্রকাশনঃ http://bit.ly/2oSSysu
একজন মুসলিম এবং শাসক হিসেবে আবু বকর রা.- কর্তৃক গৃহীত নীতিসমূহ কিভাবে একটি শক্তিশালী, দৃঢ় এবং উন্নয়নশীল দেশ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে – যা মদীনা থেকে উপত্যকা ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বে বিস্তার লাভ করে।
আমাদের জানা প্রয়োজন… দ্বীনের দাওয়াত ও কল্যাণের পথে আহবানের ক্ষেত্রে কীভাবে এতটা সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন আমাদের উৎকৃষ্ট সালাফেরা? বরং বলা ভালো কীভাবে সক্ষম হয়েছিলেন আবু বকর? কীভাবে সক্ষম হয়েছিলেন উমর? কীভাবে সক্ষম হয়েছিলেন উসমান, আলী, তালহা ও অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাইন? আরেকটু আগ্রসর হয়ে এভাবে বলা যায়-কীভাবে সক্ষম হয়েছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দ্বীনকে বহন করতে? যে দ্বীন একজন মাত্র মানুষের মাধ্যমে শুরু হয়ে তা আজ শত কোটির সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। আসুন খোঁজ নিয়ে দেখি তারা কীভাবে সফল হয়েছিলেন। কীভাবে আল্লাহ্ তায়ালা তাদের মাধ্যমে এই দ্বীনকে আজ এই পর্যায় ও অবস্থানে নিয়ে এসেছেন।
ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে শুরু করে সংশয়বাদী কিংবা আজকের এই হলিউড প্রজন্মের মানুষের ধারণা আমাদের রাসূল ﷺ এর জীবনটা তাদের দেখা আজগুবি হলিউড মুভির মত কিছু একটা। সেখানে গল্পের চরিত্রের মত প্রিয় নবীর জীবনটাকেও এরা ফ্যান্টাসি মনে করে। কিন্তু বাস্তবতা আমাদের এই হলিউড প্রজন্মের মত এত ফ্যান্টাসিতে ভরা ছিল না। আমাদের নবী রাসূল ﷺ ও একজন মানুষই ছিলেন, তিনি কোন জাদুকর ছিলেন না, সবসময় জায়নামাজে চড়ে উড়ে বেড়াতেন না, শুধু অলৌকিকতা দেখিয়ে বেড়াতেন না। মুহাম্মাদ ﷺ ও একজন মানুষই ছিলেন। কেমন মানুষ? সেটা জানাতেই wafilife.com এর এই প্রচেষ্টা। আসুন ঘুরে আসি ১৪০০ বছর আগের সেই সময়ে। হৃদয় নিঙড়ানো আবেগ আর ভালোবাসায় জানি এক মহামানবের কথা…
যদি কেউ বলে এ পৃথিবীতে এখনও ডাইনোসর আছে তাহলে হয়তো হেসেই উড়িয়ে দেব। কেউ যদি ছবি দেখায় হয়তো ভাববো ফটোশপ। আবার আপন কোন মানুষ যাকে আমি বিশ্বাস করি সে যদি ডাইনোসরগুলো নিজের চোখে দেখে আসে? সে ছবি-ভিডিও দেখালে কিছুটা হয়ত বিশ্বাস করব। কিন্তু যদি এমন হয় আমি নিজেই সাগরের মাঝে পাহাড় ঘেরা সে দ্বীপটাতে গেলাম। চোখের সামনে বড় বড় ডাইনোসর দেখলাম, তাদের গর্জন শুনলাম। তখন কি আমি অবিশ্বাস করব? তখন কি বলব অতীতের এ বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীগুলো সত্য নয়—আমার চোখের ভুল, আমাকে কিচ্ছু করবে না? বিশাল সব সাপ আর ভয়ংকর সব উড়ন্ত সরীসৃপের সামনে নিজেকে উন্মুক্ত খোলা রাখব? জীবনের মায়া আছে এমন কেউ এমন কিছু করবে না। সেটা জানতে আসুন আজ একটা গল্প শুনি। অবহেলায়, ধুলো মাখা স্তুপে পড়ে থাকা এক ভাষার গল্প…