জীবনে ভালো-খারাপ যা-ই হোক সবসময় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর। আমরা বেশির ভাগ মুসলিমরাই মনে করি, আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা আসে শুধু কষ্টের মাধ্যমে… অথচ আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “আমি তোমাদের মন্দ ও ভালো (এ উভয়) অবস্থার মধ্যে ফেলেই পরীক্ষা করি।” [সুরা আল আম্বিয়াঃ ৩৫] রসূল বলেছেনঃ “কতোই না চমৎকার মুমিনদের এই অবস্থা, তাদের জন্য সবকিছুই ভালো হয়… তাদের সাথে যদি ভালো কিছু হয় তারা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হয় (এর বিনিময়ে আল্লাহ তাদের পুরস্কৃত করেন)। এটা তাদের জন্য ভালো।… আর যদি তাদের সাথে খারাপ কিছু হয়, তারা ধৈর্যধারণ করে (এর বিনিময়ে আল্লাহ তাদের পুরস্কৃত করেন)। এটাও তাদের জন্য ভালো।” [সহিহ মুসলিম: ২৯৯৯]
এক যুবক তার কামনা-বাসনা থেকে মুক্তির উপায় জানতে একজন শাইখের কাছে গেল। শাইখকে বলল, সে নিজের দৃষ্টির হেফাজত করতে পারে না। এ থেকে মুক্তির উপায় কী? . তখন শাইখ তাকে যে উপদেশ দিলেন…
আল্লাহ তাদের বেশি পরীক্ষা করেন, যাদের তিনি বেশি ভালোবাসেন। . রসুল ﷺ বলেছেন, ‘সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা থেকেই সবচেয়ে বড় পুরষ্কার আসে। যখন আল্লাহ্ কাওকে ভালোবাসেন, তিনি তাকে পরীক্ষা করেন। যে পরীক্ষাগুলো মেনে নেয়, সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে। আর যে অভিযোগ করে, সে তাঁর ক্রোধের পাত্র হয়।” [তিরমিযি ২৩৯৬, ইবন মাজাহ ৪০৩১; (সহিহ)]
প্যারেন্টিং নিয়ে খুব বেশি বাংলা বই বাজারে মেলে না। বিশেষ করে ইসলামী ঘরানার। সন্তানের মানসিক বিকাশে কী করণীয়, ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনে ছেয়ে যাওয়া সমাজে শিশুর নিরাপত্তা, সন্তানের উত্তম ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা—ইসলামের আলোকে এগুলোর সমাধান নিয়ে বই নেই বললেই চলে। সে-হিশেবে ‘সন্তানঃ স্বপ্ন’ দিয়ে বোনা’—বইটিকে নতুন এবং অনন্য সংযোজন বলা চলে। সন্তান প্রতিপালন বিষয়ে বহুমাত্রিক আলোচনা সমৃদ্ধ একটি বই। এই বইয়ের অনুপম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সাধারণত প্যারেন্টিং বইয়ে সন্তান জন্মের পর থেকে তাকে বড় করার কলা-কৌশল নিয়ে আলোচনা থাকে। কিন্তু এই বইতে একেবারে সন্তান গ্রহণের শুরুর সময়কে ধরে আলোচনা এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। রচনা করেছেন আকরাম হোসাইন। . বই: সন্তান স্বপ্ন দিয়ে বোনা লেখক: আকরাম হোসাইন প্রকাশনী: সমকালীন প্রকাশন অর্ডার করতে ভিজিট করুন: https://bit.ly/2Gvq15t
পৃথিবী জুড়ে প্রতিটি দিন মুসলিম ঘর আলোকিত হচ্ছে নতুন মেহমানদের আগমনে, আমাদের সন্তানদের। বাবা-মায়ের কোল জুড়ে থাকে এই মেহমানেরা। দুঃখে ভরা পরিবারেও তাদের আগমনে সুখের আভাস বয়ে দেয়। কিন্তু আমরা কজন আছি এ সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের সূচনা লগ্নে ইসলামি আদর্শের অনুশীলন করি? রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর বাতলানো সব সুন্নতগুলো পালন করি? পরিতাপের বিষয় আমরা অনেকেই করি না। এর কারণ, সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে আমাদের উদাসীনতা। তবে এটাও ঠিক যে, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও না-জানার কারণে অনেকে করতে সক্ষম হয় না। আসুন আজ জেনে নিই, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ইসলামের আলোকে আমাদের কী করণীয়।
মা-বাবা ছোট শব্দ, কিন্তু এ দুটি শব্দের সাথে কত যে আদর, স্নেহ, ভালবাসা রয়েছে তা পৃথিবীর কোন মাপযন্ত্র দিয়ে নির্ণয় করা যাবে না। মা-বাবা কত না কষ্ট করেছেন, না খেয়ে থেকেছেন, অনেক সময় ভাল পোষাকও পরিধান করতে পারেন নি, কত না সময় বসে থাকতেন সন্তানের অপেক্ষায়। সেই মা বাবা যাদের চলে গিয়েছেন, তারাই বুঝেন মা বাবা কত বড় সম্পদ। যেদিন থেকে মা বাবা দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন সেদিন থেকে মনে হয় কী যেন হারিয়ে গেল,তখন বুক কেঁপে উঠে, চোখ থেকে বৃষ্টির মত পানি ঝরে, কী শান্তনাই বা তাদেরকে দেয়া যায়! সেই মা বাবা যাদের চলে গিয়েছে তারা কি মা-বাবার জন্য কিছুই করবে না?। এত কষ্ট করে আমাদের কে যে মা-বাবা লালন পালন করেছেন তাদের জন্য আমাদের কি কিছুই করার নেই? অবশ্যই আছে। আসুন, জেনে নেই, কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে মৃত মা-বাবার জন্য করণীয় ৭টি আমল সম্পর্কে।
মানসিক চাপ জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ। কিন্তু নিঃসন্দেহে অতিরিক্ত চাপ অনুভব করা দেহ, মন-মানসিকতা, জীবনযাত্রা সব দিক থেকে অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই আসুন, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায় শেখা যাক।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্যে যা কিছু অতি জরুরী ঘুম তার অন্যতম। মুমিন বান্দা যদি ঘুমের মাধ্যমে দেহ ও মনকে আরাম দেওয়ার নিয়ত করে , যাতে করে সে আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের বিষয়ে আরো দৃঢ় হতে পারে। অতঃপর ঘুমের সমস্ত সুন্নত ও শরয়ী আদব পরিপূর্ণ রূপে পালন করার চেষ্টা করে , তবে তার ঘুম ইবাদত হিসাবে পরিগণিত হবে এবং সে পুণ্য লাভ করবে। তাই আসুন, জেনে নেই, ঘুমের সুন্নত আমলসমূহ।
রাসূল ﷺ বলেছেন, [عن أبي هريرة: ] ليسَ الغِنى عن كَثْرَةِ العَرَضِ، ولَكِنَّ الغِنى غِنى النَّفْسِ ‘ধনাঢ্যতা অধিক অর্থ সম্পদের মাঝে নয়। প্রকৃত ধনাঢ্যতা হলো অন্তরের ধনাঢ্যতা।’ [বুখারী ৬৪৪৬, মুসলিম ১০৫১] . ভিডিও স্ক্রিপ্ট মূল: উস্তাদ আলী হাম্মুদা . [অনুবাদ এবং পরিমার্জনায়: WafiLife]
আমরা যারা ইসলামকে সামান্য হলেও মেনে চলার চেষ্টা করি, তাদের অনেকেরই ইচ্ছা থাকে নতুন নতুন দু’আ, কুর’আনের আয়াত ও সূরাহ মুখস্থ করার। কিন্তু মুখস্থ করতে ব্যর্থ হওয়ার পেছনের একটি অন্যতম কারণ হলো এটা মনে করা যে, আমাদের স্মৃতিশক্তি কমে গিয়েছে। তাহলে এই স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় কী? আসুন এ ব্যাপারে জেনে নেই কিছু কৌশল। স্মৃতি বলতে মূলত তথ্য ধারণ করে পুনরায় তা ফিরে পাওয়ার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। বিজ্ঞানীরা আমাদের স্মৃতিকে প্রধানত দুভাগে ভাগ করেছেন: ১. স্বল্পস্থায়ী বা স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি, ২. দীর্ঘস্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি। খুব অল্প সময়ের জন্য আমাদের মস্তিষ্কে যেসব স্মৃতি স্থায়ী থাকে, সেগুলো হচ্ছে স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি। আর দীর্ঘ সময়ের জন্য আমাদের মস্তিষ্কে যেসব স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে, সেগুলো হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি। এই ভিডিওতে আমরা মূলত দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর কিছু কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো। . ভিডিও স্ক্রিপ্ট: মুসলিম মিডিয়া ব্লগের ‘স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর সেরা ১০টি কৌশল’ আর্টিকেলের কিছু অংশ (মূল: http://bit.ly/2X3rJlE)