মানব জাতিকে একে অপরের সহযোগী করে সৃষ্টি করা হয়েছে। একটি সমাজের প্রত্যেকে আর্থিকভাবে সমশ্রেণী হবে, সবার একই পেশা থাকবে—এমনটা ভাবা বাস্তবতা বিবর্জিত। প্রত্যেক যুগেই ধনী-গরিব ছিল। কেউ কাজ করেছে, কেউ-বা পারিশ্রমিক দিয়েছে। এটাই সমাজের বৈশিষ্ট্য। তবে অস্বাভাবিক হচ্ছে যখন আর্থিক বৈষম্যটা আকাশ-পাতাল সমতুল্য হয়ে যায়। ফলে যারা ধনী, তারা আরও সম্পদের পাহাড় গড়তে পারছে; আর যারা গরিব, তারা দরিদ্রের কশাঘাতেই পিষে যাচ্ছে। . সৃষ্টির পূর্ব থেকেই আল্লাহ্‌ তাআলা জানতেন মানুষ জমিনে ফাসাদ করে বেড়াবে। আর তাই মানুষকে সঠিক পথে রাখতে পথনির্দেশ দিয়ে যুগে যুগে পাঠিয়েছেন নবি-রাসূল। এগুলো তাঁর দয়ার অংশ। তেমনি এই দয়ার একটি বহিঃপ্রকাশ হলো যাকাতের বিধান। সামাজিকভাবে যদি এর যথাযথ বাস্তবায়ন হয় তবে ধনী-দরিদ্রের এই আকাশচুম্বী ব্যবধান মিটে যাবে। এটা কোনো অনুমান নয়। ইসলামী ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল সোনালী দিনগুলোই এর জলজ্যান্ত প্রমাণ। . আসুন আজ জেনে নেয়া যাক, মানুষে মানুষে এই অস্বাভাবিক বৈষম্য দূরীকরণে আল্লাহ তাআলা যাকাতের কতগুলো পথ খোলা রেখেছেন।

Add Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *