যাকাত ৮ ধরণের

মানব জাতিকে একে অপরের সহযোগী করে সৃষ্টি করা হয়েছে। একটি সমাজের প্রত্যেকে আর্থিকভাবে সমশ্রেণী হবে, সবার একই পেশা থাকবে—এমনটা ভাবা বাস্তবতা বিবর্জিত। প্রত্যেক যুগেই ধনী-গরিব ছিল। কেউ কাজ করেছে, কেউ-বা পারিশ্রমিক দিয়েছে। এটাই সমাজের বৈশিষ্ট্য। তবে অস্বাভাবিক হচ্ছে যখন আর্থিক বৈষম্যটা আকাশ-পাতাল সমতুল্য হয়ে যায়। ফলে যারা ধনী, তারা আরও সম্পদের পাহাড় গড়তে পারছে; আর যারা গরিব, তারা দরিদ্রের কশাঘাতেই পিষে যাচ্ছে। . সৃষ্টির পূর্ব থেকেই আল্লাহ্‌ তাআলা জানতেন মানুষ জমিনে ফাসাদ করে বেড়াবে। আর তাই মানুষকে সঠিক পথে রাখতে পথনির্দেশ দিয়ে যুগে যুগে পাঠিয়েছেন নবি-রাসূল। এগুলো তাঁর দয়ার অংশ। তেমনি এই দয়ার একটি বহিঃপ্রকাশ হলো যাকাতের বিধান। সামাজিকভাবে যদি এর যথাযথ বাস্তবায়ন হয় তবে ধনী-দরিদ্রের এই আকাশচুম্বী ব্যবধান মিটে যাবে। এটা কোনো অনুমান নয়। ইসলামী ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল সোনালী দিনগুলোই এর জলজ্যান্ত প্রমাণ। . আসুন আজ জেনে নেয়া যাক, মানুষে মানুষে এই অস্বাভাবিক বৈষম্য দূরীকরণে আল্লাহ তাআলা যাকাতের কতগুলো পথ খোলা রেখেছেন।

Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *