গুনাহমুক্ত একটি নতুন বছর

আরও একটি বছর শেষ হয়ে গেল। জীবন থেকে চলে গেল আরও কিছু সময়। নতুন বছরের শুরুতে দাঁড়িয়ে আমরা যদি পেছন ফিরে তাকাই, তবে হয়তো সফলতার চেয়ে ব্যর্থতাগুলোই বেশি নজরে পড়বে। আবার হ্যাঁ, উল্টোটাও হতে পারে। তবে ফ্ল্যাশব্যাকে পুরো বছরটাকে একবার দেখে নিয়ে নতুন বছরের সাথে জুড়ে দিতে না পারলে এই পেছন ফিরে দেখা কোনো কাজের হবে না।

তবে এখানে মৌলিক একটা বিষয় আছে। মুসলিম হিসেবে আমাদের পেছন ফিরে দেখার সাথে দুনিয়ার অন্য কোনো মানুষের পেছন ফিরে দেখার মিল থাকবার কথা না। ঈমানদার হিসেবে যেকোনো কিছু দেখার, যাচাই করার লেন্স হচ্ছে আমাদের ঈমান। সেই লেন্স থেকে যদি আমরা বিগত বছরটাকে যাচাই করি, তাহলে বস্তুগত বিষয়ের হিসেব-নিকেশ কিংবা সাফল্য-ব্যর্থতার আগে আমরা দেখবো ঈমানের হিসেবে আমাদের অর্জন কতোটুকু আর ব্যর্থতাই বা কতোটুকু? বিদায়ী বছরে নেক আমল কয়টা করেছি আর গুনাহ কয়টা করেছি? নতুন বছরে গুনাহগুলো ত্যাগ করে নেক আমল বাড়াতে পারবো তো?

আসুন, গুনাহমুক্ত নতুন একটি বছরের মাধ্যমে নতুন জীবনের সূচনা করতে চেষ্টা করি। তার আগে জেনে নিই নতুন বছরে কোন কোন গুনাহগুলো ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা আমরা করতে পারি। তো শুরু করা যাক।

১। মুখের গুনাহ

অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে মুখের গুনাহই আমাদের দ্বারা বেশি হয়। গীবত-পরনিন্দা, ঝগড়া-বিবাদ, মিথ্যা, দ্বিমুখী কথা, অশ্লীল কথার মতো নানান গুনাহ করে ফেলি আমরা। হাদীসে এসেছে:

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘যে, আল্লাহ ও শেষ দিবসে বিশ্বাস রাখে সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।’ (সহিহ বুখারি, ৬০১৮)

প্রখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদ্বি.) বলেন, ‘সেই সত্তার কসম, যিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, ভূপৃষ্ঠে সবকিছুর চেয়ে জিহ্বাকেই সবথেকে বেশি বন্দি ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।’ (আলমুজামুল কাবীর-৮৭৪৪)

তাই নতুন বছরে আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, ইতিপূর্বে আমরা মুখের দ্বারা যত গুনাহ করেছি, সেগুলো যেন এ বছর না হয়। এক্ষেত্রে আমরা জবানের হেফাজত, জবানের দংশন, মুখের উপর লাগাম দিন , গীবত ও পরনিন্দা বইগুলো সামনে রাখতে পারি।

মুখে আরেকটি গুনাহ হচ্ছে, ধূমপান করা। ধূমপান করাকে অনেকে গুনাহ বলেই মনে করেন না। অথচ ধূমপান আর বিষপানে কোনো তফাত কিন্তু নেই। হ্যাঁ, এতোটুকু তফাত আছে যে বিষপানে তাৎক্ষণিক মারা যাবার ভয় থাকে আর ধূমপানে থাকে না। এজন্যই ধূমপান আরও মারাত্মক, এটি আপনাকে ধীরে ধীরে, ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে। ধূমপান আপনাকে নিয়ে যাবে আরও বড় আসক্তির দিকে। ধূমপান দিয়ে শুরু করে পরে মদ, গাঁজা, হেরোইন ইত্যাদিতে আসক্ত হয়েছে, এমন উদাহরণ অসংখ্য। তাই ধূমপানকে ‘না’ বলুন শক্তভাবে। তাছাড়া ধূমপান যে শুধু নিজের শরীরের ক্ষতি করে, এমন কিন্তু না। বরং একজন ধূমপায়ী বাতাসে সিগারেটের যে ধোঁয়া ছড়িয়ে দেন, তা থেকে তার আশেপাশে থাকা অধূমপায়ী মানুষরাও ক্ষতির শিকার হয়। এতো এতো ক্ষতি থেকে আপনার কতো গুনাহ হচ্ছে, ভেবে দেখেছেন? তাই এই বদঅভ্যাস থেকে থাকলে আজই সেটা পরিহার করুন। ‘কেন ধূমপান করছেন’ নামে খুব ছোট্ট একটা বই আছে এ বিষয়ের উপর। ধূমপানের গুনাহ, ক্ষতি ও ছাড়ার বিষয়ে পরামর্শ পেতে জরুরি এই বইটিও পড়তে পারেন আপনারা।

২। চোখের গুনাহ

চোখের গুনাহের মধ্যে পর্ন দেখার কথা সবার আগে বলতে হয়। এই গুনাহতা আমাদের মধ্যে আজ এতো ব্যাপকতা লাভ করেছে যে, পুরুষ থেকে নারী, শিশু থেকে বৃদ্ধ, ছোট থেকে বড় সবার মধ্যে এটি ছড়িয়ে পড়েছে। নীরব মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়া এই গুনাহ দিন দিন সরব হচ্ছে, বাড়ছে এর শারীরিক-মানসিক ক্ষতির বহর। এই গুনাহ আমাদের দ্বীন ও দুনিয়া দুটোকেই বরবাদ করে দিচ্ছে।

হাদীসে এসেছে “তোমরা আমার জন্য ছয়টি জিনিসের জিনিসের দায়িত্ব নিলে, আমি তোমাদের জান্নাতের দায়িত্ব নিব। যখন কথা বল, সত্য বল। যখন প্রতিশ্রুতি দেবে তা পুরো করবে, আর যখন তোমার নিকট আমানত রাখা হবে, তা রক্ষা করবে। আর তোমরা তোমাদের লজ্‌জাস্থানের হেফাজত করবে, তোমাদের চক্ষুকে অবনত করবে এবং তোমরা তোমাদের হাতকে বিরত রাখবে।” (মুসনাদে আহমাদ, ২২৭৫৭)

নতুন বছরে এই গুনাহ থেকে বাঁচতে আমরা শক্ত উদ্যোগ নিতে পারি। উপযুক্ত গাইডলাইন ফলো করে গুনাহটি ত্যাগের আমরা নিজেদের এগিয়ে নিতে পারি মুক্তির পথে। এই গুনাহটি বাদ দিতে পারলে আমাদের নতুন বছরটি আমাদের জীবনেরও নতুন একটি সূচনা হয়ে উঠতে পারে ইনশাআল্লাহ। এই বিষয়ে যথাযথ গাইডলাইন আর অনুপ্রেরণা পেতে চমৎকার চারটি বইয়ের খোঁজ আমরা আপনাদের দিতে পারি। ‘মুক্ত বাতাসের খোঁজে’, ‘ঘুরে দাঁড়াও’, এবং ‘মুক্তি সম্ভব’। এই বইগুলো থেকে আপনারা পর্নের ক্ষতি, এর ভয়াবহতা, পর্ন আসক্তি ত্যাগ করার অনুপ্রেরণা ও গাইডলাইন—সবকিছুই পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

৩। কানের গুনাহ

কানের গুনাহের মধ্যে মিউজিক সবচেয়ে ব্যাপক। মিউজিকের তালে তালে মাথা দুলিয়ে যাওয়া ভাই কিংবা বোনদের অধিকাংশের মধ্যেই এই ধারণাটিই নেই যে, তারা আসলে ঠিক কি করছেন।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মাঝে এমন কিছু লোক হবে যারা ব্যভিচার, রেশম, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে।’ (বুখারি : ৮৩)

ভাইবোনেরা, মিউজিক আমাদের জন্য নয়। আল্লাহ সুব’হানাহু ওয়া তা’আলা একে আমাদের জন্য নিষিদ্ধ করেছেন। শুধু তাই নয়, রাসুল (সা.) বলেছেন,

‘গায়ক ও গান শ্রবণকারীর ওপর আল্লাহর অভিশাপ।’ (তিরমিজি : ৯৪২)

মিউজিকের ক্ষতির কথা বলে শেষ করবার নয়। মিউজিক কুরআনে আমাদের অনাগ্রহ সৃষ্টি করে, ইবাদতের মজাকে মেরে ফেলে। দ্বীন থেকে দূরত্বের সৃষ্টি করে। যদিও আমরা ভাবি মিউজিক আমাদের শান্তি দেয়, আনন্দ দেয়, কিন্তু বাস্তবতা হলো ঠিক উল্টো। মিউজিক আমাদেরকে সাময়িক একটা সময় ভুলিয়ে রাখে স্রেফ। মিউজিক আমাদের মধ্যে বিষণ্ণতার জন্ম দেয়। মানুষের মধ্যে গুনাহের প্রবণতা, উন্মত্ততা ইত্যাদির সৃষ্টিতে মিউজিকের ভূমিকা অনেক অনেক বেশি। আসুন, এই নতুন বছরটিতে আমরা মিউজিকটা ছেড়ে দেবার চেষ্টা করি।

অন্তরের প্রশান্তি কক্ষণো মিউজিকে নেই আর ছিলও না। অন্তরের প্রশান্তি তো কেবল আল্লাহর স্মরণে। মিউজিক মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে ফেলে, সুরের মূর্ছনায় আচ্ছন্ন করে তাকে গুনাহর রাস্তায় ধাবিত করে। মানুষের মনের মধ্যে, তার চিন্তাচেতনায় গানবাজনার প্রভাব যে কত বেশি এবং সেটা কত মারাত্মক, বলে শেষ করা যায় না। ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ ঠিকই বলেছিলেন, এইসব গানবাজনা হচ্ছে অন্তরের মদ। যারা আগে গান শুনতেন এবং পরে সেটা ছেড়ে দিয়েছেন, এই বাস্তবতা তাদের ভালো করেই অনুধাবন করবার কথা। এখন আবার অনেকে ইসলামের আলোকে মিউজিক নিয়ে নানান বিভ্রান্তি ছড়াবার চেষ্টা করছে।

মিউজিকের গুনাহ, ক্ষতি ও ইসলামে এর অবস্থান জানতে দুটো বই আমরা আপনাদের রিকোমেন্ড করছি। একটি হচ্ছে শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিলের ‘মিউজিক শয়তানের সুর’ এবং আরেকটি হচ্ছে ড. গওহর মুশতাকের ‘ইজ মিউজিক হালাল’। বই দুটো মিউজিকের বিষয়ে ইসলামের অবস্থান ও এর গভীর ক্ষতি সম্পর্কে আপনাদেরকে বাস্তবতার সন্ধান দেবে ইনশাআল্লাহ। আসুন, মিউজিক থেকে বেঁচে থাকি।

এছাড়া নতুন বছরে আমরা আরও কিছু গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারি, যেগুলো আমাদের সমাজে ব্যাপক। যেমন:

৪। বিয়ে বহির্ভুত সম্পর্ক, প্রেম-ভালোবাসা

ভালোবাসা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। প্রতিটি মানুষই কাউকে না কাউকে ভালোবাসে ও ঘৃনা করে। স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা, মা-বাবার ভালোবাসা, সন্তানের ভালোবাসা, মুসলিম ভাইয়ে-ভাইয়ে ভালোবাসা, এরকম অনেক ভালোবাসা আমাদের জীবনে আছে বলেই জীবনকে অনেক সুন্দর মনে হয় এবং নানাবিধ কাজে প্রেরণা খুঁজে পাই। কিন্তু মানুষের এই অনুভূতিকে খারাপ দিকে নিয়ে যেতে শয়তান বদ্ধপরিকর। এর ফলাফলস্বরূপ বিয়ে বহির্ভুত ভালোবাসা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা আজ খুব স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফলে যে জায়গায় ভালোবাসা থাকলে জীবন সুন্দর হতো, সুখময় হতো, সেখান থেকে ভালোবাসা সরিয়ে আজ অপাত্রে ভালোবাসা দিচ্ছে যুবসমাজ। এতে করে বাড়ছে ভ্রুণ হত্যা, পারিবারিক বিশৃঙ্খলা, সংসারজীবনে অনাগ্রহ, ব্যক্তিজীবনে হতাশা, আত্মহত্যার মতো নানান পাপাচার।

তাই সময় থাকতেই এর ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। হালাল ভালোবাসা, বিয়ে, কর্মসংস্থানের প্রতি যুবসমাজকে ধাবিত করতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু বই আমরা সামনে রাখতে পারি, তাহলে খুব সহজেই এই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব হবে ইনশা আল্লাহ: আকাশের ওপারে আকাশ, অবৈধ প্রেম থেকে দূরে থাকুন, প্রেমরোগ প্রতিপাদন ও প্রতিবিধান

৫। গেইম আসক্তি

হাতে হাতে আজ ইলেকট্রনিক ডিভাইস। উচ্ছল তারুণ্য তাই মুক্ত পৃথিবীর আনন্দ ভুলে গিয়ে ডুবে আছে ইলেকট্রনিকস গেইমের মিথ্যা জগতে। গেইম বলে পাশ কাটিয়ে যাবার কোনো সুযোগ নেই এখানে। এসব গেইম আজকাল রূপ নিয়েছে ভয়াবহ সব আসক্তিতে, যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্বীন-দুনিয়া সবকিছু ধ্বংসের কারণ। গেইম খেলে খেলে মানুষ নিজের জীবন, কাজকর্মের পাশাপাশি অন্যেরও জীবন ও কাজ ধ্বংস করে দিচ্ছে।

হাদীসে এসেছে: ‘দুর্ভাগা তারা যারা দীর্ঘায়ু পেয়েছে এবং তা আমলবিহীন অতিবাহিত করেছে।’ (তিরমিজি : ২৩২৯)

গেইম বিষয়টা আজ রূপ নিয়েছে বিশাল এক মহামারীতে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তারুণ্য, ধ্বংস হচ্ছে তার ব্যক্তিত্ব। এই আসক্তিকে আমরা এই নতুন বছরে ছুটি জানাতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে পারি। এ বিষয়ে বাস্তব ধারণা নিতে ও এই আসক্তি থেকে নিজেকে ও অপরকেও মুক্ত করতে শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদের দারুণ একটি বই আছে, নাম ‘ইলেকট্রনিক গেমস এবং কমার্সিয়াল সেন্টারের মহামারি’। বইটি পড়ে নিজেরা সচেতন হয়ে এইসব গেমসের আসক্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করে দ্বীনকে হিফাযত করবো, এই প্রত্যয় নিয়ে নতুন বছরে নতুন সূচনার উদ্যোগ নিতে পারি আমরা।

৬। ইন্টারনেট আসক্তি

ইন্টারনেট আজ শুধু প্রয়োজনের গণ্ডিতে আবদ্ধ নেই। বাড়তে বাড়তে আজ সেটা চলে গিয়েছে মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণকারীর পর্যায়ে। হাতে হাতে স্মার্টফোনের এই যুগে মানুষ দিন নেই, রাত নেই ডুবে থাকে নীল স্ক্রিনের ছোট্ট সীমানায়। বুঁদ হয়ে থাকে একের পর এক জিনিসে। একেকটা স্মার্টফোন হয়ে উঠেছে একেকটি কারাগার, যেখানে আমরা হয়েছি স্বেচ্ছায় কারাবন্দী। এই কঠিন আসক্তির ছোবল মেরে ফেলছে আমাদের দ্বীনদারিতা, নষ্ট করছে আমাদের পার্থিব জীবনকেও। পর্নোগ্রাফি, গেইম আসক্তি সহ ইত্যাদি আসক্তির পেছনে মৌলিক ভূমিকা এই আসক্তির। আসুন, নতুন বছরে আমরা চেষ্টা করি অল্প অল্প করে স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নেবার। দরকার ছাড়া ফোন না ধরি, ইন্টারনেটে না ঢুকি। ঢুকলে প্রয়োজন সেরে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার অভ্যাসটাও করে নেই। নতুন বছরে জীবন নতুনভাবে শুরু হোক আমাদের, যাতে দ্বীন থাকে নিরাপদ, দুনিয়াও থাকে শান্তিময়। মোবাইল আসক্তি কাটাতে কল্পিত কারাবাস বইটি দারুণ।

প্রিয় পাঠক! গুনাহ আমাদের অসংখ্য। এই লেখায় মাত্র ৬টি বিষয় এলেও গুনাহ তো আর এই কয়টি নয়। কিন্তু সমাজে ব্যাপক আকারে প্রচলিত এই গুনাহগুলো ছাড়তে যদি আমরা সক্ষম হই, তবে আল্লাহ চাইলে হয়তো এরই মাধ্যমে আরও অনেকগুলো গুনাহ ছাড়ার পথটাও সুগম হয়ে যাবে। তাই আসুন, আমরা নিজেদের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই নতুন বছরে গুনাহ ছাড়বো আর দ্বীনের সাথে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবো। নতুন বছর তো কেবল হিসেবেই নতুন। তবে সত্যিই সেটা নতুন হয়ে উঠতে পারে যদি আমরা গুনাহ ত্যাগের মাধ্যমে জীবনটাকে নতুন করে শুরু করার শুরুটা করতে পারি। আল্লাহ আমাদের সেই তাওফীক দান করুন। আমীন।

Add Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *