১) বেশি বেশি ওযু করা
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘পূর্ণাঙ্গরূপে ওযু করার কারণে কিয়ামতের দিন তোমাদের মুখমণ্ডল, হাত ও পায়ের ওযুর স্থান আলোকিত হবে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা সক্ষম (অর্থাৎ বেশি ওযু করতে), তারা যেন নিজ নিজ মুখমণ্ডল, হাত ও পায়ের জ্যোতি বাড়িয়ে নেয়।’ (সহীহ মুসলিম, ইফাঃ ৪৭০)
২) কুরআন তিলাওয়াত করা
আবূ যার গিফারী (রাদ্বি.) একদিন নবীজিকে বললেন, ‘আমাকে কিছু উপদেশ দিন আল্লাহর রাসূল।’ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ‘আল্লাহর প্রতি তাকওয়া রাখো। এটাই সবকিছুর মূল।’ আবূ যার বললেন, ‘আরও কিছু বলুন ইয়া রাসূলাল্লাহ!’ নবীজি বললেন, ‘কুরআন তিলাওয়াত করো। কারণ, এটা পৃথিবীর বুকে তোমরা জন্য নূর। আর আসমানে তোমার সঞ্চিত সম্পদ।’ (সহীহ আত-তারগীব, ১৪২২; মান: হাসান লি গইরি: শাইখ আলবানী)
৩) তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া
প্রখ্যাত তাবিয়ি হাসান বাসরি (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘তাহাজ্জুদ-গুজার বান্দাদের চেহারায় সবসময় নূর চমকাতে থাকে কেন?’ তিনি বলেন, ‘কারণ, তারা আর-রহমানের সাথে নিভৃতে সময় কাটায়। তাই তিনি নিজের নূর দিয়ে তাদের আলোকিত করেন।’
৪) বিভিন্ন নেক আমল করা
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) তাঁর ‘জাওয়াবুল কাফী’ গ্রন্থে লিখেছেন, সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদ্বি.) বলতেন, ‘নেক আমল মাত্রই চেহারার জন্য জ্যোতি, অন্তরের জন্য নূর, রিজিক বৃদ্ধির দুয়ার, শরীরের জন্য শক্তিবর্ধক এবং মানুষের ভালোবাসা পাবার মাধ্যম। অন্যদিকে পাপ মাত্রই চেহারার জন্য কালিমা, অন্তরের জন্য আঁধার, শরীরকে দুর্বলকারী, রিজিক হ্রাসকারী এবং মানুষের ক্রোধের শিকার হবার কারণ।’
৫) নিজের ভিতরটা পরিশুদ্ধ করা
সালাফ বা প্রথম তিন যুগের মানুষরা একে অপরকে চিঠি লিখতেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের ভিতরটা ঠিক করে, আল্লাহ্ তার বাহিরের বিষয়আশয় ঠিক করে দেন। যে ব্যক্তি নিজের ও আল্লাহর মধ্যকার বিষয়গুলো ঠিক করে, আল্লাহ্ তার ও মানুষের মধ্যকার বিষয়গুলো ঠিক করে দেন। আর যে ব্যক্তি আখিরাতের জন্য কাজ করে, আল্লাহ্ তার দুনিয়ার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান।’ (ইখলাস, ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া)
Leave a Reply to Mahmudul Hasan Cancel reply