ধনী হবার পাঁচ সূত্র

জগতে সবাই চায় আর্থিক নিরাপত্তা। আর এটা থেকেই আসে ধনী হবার বাসনা। বিশেষজ্ঞদের কাছে ধনী হবার রকমারি সূত্র থাকলেও বাস্তবিক অর্থে ধনী হবার পরীক্ষিত একমাত্র কোনো সূত্র নেই। এটি সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল। তবে কিছু কমন কৌশল আছে, যেগুলো অনুসরণ করলে আর যাইহোক কেউ গরীব থাকবে না। যেমন:

১) ঋণ এড়িয়ে চলুন

ঋণ সামগ্রিকভাবে ক্ষতিকর না হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে চলা উচিত। অনেক মানুষ দ্রুত ধনী হবার বাসনা থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেন, যা পরবর্তীতে বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়ায় তার পরিবারের ওপর। তাছাড়া ইসলামে সুদ দেওয়া, নেওয়া দুটোই নিষিদ্ধ।

২) ব্যয় করুন, তবে খরচ কমিয়ে

ধনী হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে খরচ কমিয়ে আনতে হবে এবং প্রতিটি ব্যয়ের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। এটা আমরা ২য় পয়েন্টে বললেও সবার আগে আপনাকে এটাই করতে হবে। একটা বাজেট মেইনটেইন করুন। শুধু ঈদে নয়, প্রতি মাসেই আপনার একটা বাজেট থাকা চাই। খরচের প্রত্যেক খাতকে কেন্দ্র করে। সেই বাজেট অনুযায়ী ব্যয় করলে অর্থ জমবে, অধীনস্থদের মনের বাসনাও পূরণ হবে। কঞ্জুস তকমা পাবেন না।

৩) যত পারুন ইনভেস্ট করুন

আমাদের সমাজে সাধারণত মানুষ আয়-রোজগারের মাধ্যম হিসেবে দুটো পন্থাকে বেশি বেঁছে নেয়। হয় ব্যবসা, নয় চাকুরী। অথচ ইনভেস্টমেন্টও যে একটা বিশাল ইনকাম সোর্স হতে পারে, এটা আমরা কল্পনা করতে পারি না। বহির্বিশ্বে যে কত ধনকুবের গড়ে উঠেছে ইনভেস্টমেন্টের ওপর ভিত্তি করে, গুগল করলেই জানা যায়। তবে কোথায় ইনভেস্ট করবেন, কীভাবে করবেন, এ বিষয়ে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে আগাবেন। অন্যথায় এই পিচ্ছিল পথ আপনার জন্য বিপদজনক হতে পারে।

৪) নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কাজ করুন

আপনার ক্যারিয়ার যেটাই হোক, নিশ্চিত করুন যে আপনি আপনার কর্মজীবনে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে আপনার আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি আপনার ব্যয়ের চেয়ে সঞ্চয় যেন বেশি হয়, সেটা খেয়াল রাখবেন।

৫) এক্সট্রা কিছু করুন

গদবাধা বা একমুখী কর্মজীবনে অভ্যস্ত না থেকে চেষ্টা করুন অতিরিক্ত কিছু করার। সবসময় এক্সট্রা সময় পাওয়া মানেই অবসর নেয়া জরুরী নয়, বরং এটাকে সুযোগ হিসেবে নিন। প্রতিদিন না পারলে অন্তত সপ্তাহেও যদি সামান্য কিছু কাজ করেন, দেখবেন বছর শেষে সেটা বিশাল আয় নিয়ে আসছে।

ধনী হবার কলাকুশল নিয়ে চমৎকার কিছু বই পাবেন এই লিংকে:

https://wafi.life/becoming-rich-package

Add Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *