একটি পরিতৃপ্ত অন্তর

রাসূল ﷺ বলেছেন, [عن أبي هريرة: ] ليسَ الغِنى عن كَثْرَةِ العَرَضِ، ولَكِنَّ الغِنى غِنى النَّفْسِ ‘ধনাঢ্যতা অধিক অর্থ সম্পদের মাঝে নয়। প্রকৃত ধনাঢ্যতা হলো অন্তরের ধনাঢ্যতা।’ [বুখারী ৬৪৪৬, মুসলিম ১০৫১] . ভিডিও স্ক্রিপ্ট মূল: উস্তাদ আলী হাম্মুদা . [অনুবাদ এবং পরিমার্জনায়: WafiLife]
Read more

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর সেরা ৫টি কৌশল

আমরা যারা ইসলামকে সামান্য হলেও মেনে চলার চেষ্টা করি, তাদের অনেকেরই ইচ্ছা থাকে নতুন নতুন দু’আ, কুর’আনের আয়াত ও সূরাহ মুখস্থ করার। কিন্তু মুখস্থ করতে ব্যর্থ হওয়ার পেছনের একটি অন্যতম কারণ হলো এটা মনে করা যে, আমাদের স্মৃতিশক্তি কমে গিয়েছে। তাহলে এই স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় কী? আসুন এ ব্যাপারে জেনে নেই কিছু কৌশল। স্মৃতি বলতে মূলত তথ্য ধারণ করে পুনরায় তা ফিরে পাওয়ার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। বিজ্ঞানীরা আমাদের স্মৃতিকে প্রধানত দুভাগে ভাগ করেছেন: ১. স্বল্পস্থায়ী বা স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি, ২. দীর্ঘস্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি। খুব অল্প সময়ের জন্য আমাদের মস্তিষ্কে যেসব স্মৃতি স্থায়ী থাকে, সেগুলো হচ্ছে স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি। আর দীর্ঘ সময়ের জন্য আমাদের মস্তিষ্কে যেসব স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে, সেগুলো হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি। এই ভিডিওতে আমরা মূলত দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর কিছু কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো। . ভিডিও স্ক্রিপ্ট: মুসলিম মিডিয়া ব্লগের ‘স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর সেরা ১০টি কৌশল’ আর্টিকেলের কিছু অংশ (মূল: http://bit.ly/2X3rJlE)
Read more

রোযার সুন্নত আদব সমূহ

সিয়াম পালনের কিছু মুস্তাহাব বা সুন্নাত আদব আছে যেগুলো পালন করলে সাওয়াব বেড়ে যাবে। আর তা ছেড়ে দিলে রোযা ভঙ্গ হবে না বা গোনাহও হবে না। তবে পুণ্যে ঘাটতি হবে। কিন্তু তা আদায় করলে সওয়াবের পরিপূর্ণতা আসে। নিম্নে এসব আদব উল্লেখ করা হল:- [১] সাহরী খাওয়া রাসূল ﷺ বলেছেন:- (রোযাদারদের জন্য) সাহরী হল একটি বরকতময় খাবার। তাই কখনো সাহরী খাওয়া বাদ দিও না। এক ঢোক পানি পান করে হলেও সাহরী খেয়ে নাও। কেননা সাহরীর খাবার গ্রহণকারীকে আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর ফেরেশতারা স্মরণ করে থাকেন। [আহামদ-১০৭০২] . [২] সাহরী দেরী করে খাওয়া অর্থাৎ তা শেষ ওয়াক্তে খাওয়া উত্তম। রাতের শেষাংশে গ্রহণকৃত খাবারকে সাহরী বলা হয়। . [৩] সাহরীর সময়কে ইবাদতে কাজে লাগানো প্রতিরাতের শেষ তৃতীয়াংশ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আরশ থেকে প্রথম আসমানে নেমে আসেন। আর বান্দাদেরকে এই বলে আহ্বান করেন : “এখন যে ব্যক্তি আমার কাছে দু‘আ করবে আমি তা কবূল করব, যা কিছু আমার কাছে এখন চাইবে আমি তাকে তা দিব এবং যে আমার কাছে এখন মাফ চাইবে আমি তাকে মাফ করে দিব। [বুখারী-৬৩২১ ও মুসলিম-৭৫৮] . [৪] সূর্য অস্ত যাওয়ামাত্র ইফতার করা রাসূল ﷺ বলেছেন:- মানুষ যতদিন পর্যন্ত তাড়াতাড়ি ইফতার করবে ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে। [বুখারী-১৯৫৭ ও মুসলিম-১০৯৮] . [৫] মাগরিবের সালাতের পূর্বে খেজুর বা পানি দ্বারা ইফতার করা আনাস রাদিআল্লাহু আনহু বলেছেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ (মাগরিবের) সলাতের পুর্বে তাজা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। যদি তাজা খেজুর পাওয়া না যেত তবে শুকনো খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। আর যদি শুকনা খেজুর পাওয়া না যেত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দ্বারা ইফতার করতেন। [আহমাদ] . [৬] ইফতারের সময় দু‘আ করা রাসূলুল্লাহ ﷺ ইফতারের সময় নিম্নের এ দুআটি পাঠ করতেন::- “পিপাসা নিবারিত হল, শিরা উপশিরা সিক্ত হল এবং আল্লাহর ইচ্ছায় পুরস্কারও নির্ধারিত হল।” [আবূ দাউদ, দারাকুতনী, বাইহাকী] . [৭] বেশী বেশী কুরআন পাঠ করা, সলাত আদায়, যিকর ও দু‘আ করা রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: সিয়াম ও কুরআন কিয়ামতের দিন (আল্লাহর কাছে) মানুষের জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে, সিয়াম বলবে, হে রব! দিনের বেলায় আমি তাকে পানাহার ও যৌন উপভোগ থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবূল কর। কুরআনও বলবে, হে রব! (রাতে কুরআন পাঠের কারণে) রাতের নিদ্রা থেকে আমি তাকে বিরত রেখেছি। তাই এ পাঠকের ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ মঞ্জুর কর। তিনি বলেন, অতঃপর উভয়েরই সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। [আহমাদ-৬৫৮৯][৮] ইবাদতের তাওফীক কামনা ও আল্লাহর দয়া অনুধাবন করা আমরা যে ইবাদত করি তাও আল্লাহর দয়া। তিনি যে এ কাজে আমাদেরকে তাওফীক দিয়েছেন সেজন্য আমরা তার শুকরিয়া আদায় করি। অনেকের ভাল কাজও আবার কবূল হয় না। আল্লাহ বলেন: “কেবলমাত্র মুত্তাকীদের কাজই আল্লাহ কবূল করেন। [মায়িদাহ : ২৭] . [৯] বেশী বেশী দান খয়রাত করা হাদীসে এসেছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশী দানশীল আর রমাযানে তাঁর এ দানশীলতা আরো বেড়ে যেত। [মুসলিম-২৩০] . [১০] উত্তম চরিত্র গঠনের অনুশীলন করা রাসূল ﷺ বলেছেন:‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোযা রাখে, সে যেন তখন অশ্লীল কাজ ও শোরগোল থেকে বিরত থাকে। রোযা রাখা অবস্থায় কেউ যদি তার সাথে গালাগালি ও মারামারি করতে আসে সে যেন বলে, “আমি রোযাদার”। [মুসলিম-১১৫১] . সোর্স: কুরআনের আলো
Read more

ইফতারের আগ মুহূর্তে সময় কাটছে না। কী করব?

ইফতার শুরুর আগ মুহূর্তটা অলসভাবেই কাটে আমাদের। কেউ মোবাইল নিয়ে বসে থাকি, কেউ টেলিভিশনের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকি, কেউবা ইফতারের খাবার নিয়ে নাড়াচাড়া করেই সময়টা পার করে দেই। কিন্তু এই সময়টাকে আল্লাহ তাআলা বিশেষ সময় হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন বান্দাদের জন্য। হ্যাঁ এটা আপনার দুআ কবুলের সময়। এই সময়ে আল্লাহ তাআলা বান্দার দুআ কবুল করেন। তিরমিযীর একটি হাদীসে রাসূল ﷺ বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দুআ ফিরিয়ে দেয়া হয় না। এদের একজন হলো, রোজাদার ব্যক্তির দুআ, যখন সে ইফতার করে।’ কাজেই এইটাই দুআ কবুলের মোক্ষম সুযোগ। একে হেলায় নষ্ট করবেন না। দুআ করুন আল্লাহর কাছে আপনার আখিরাতের জীবনের জন্য, তুলে ধরুন আপনার দুনিয়ার জীবনে যাবতীয় প্রয়োজন, এবং যা কিছু আপনার স্মরণে আসে আল্লাহর কাছে চান। বিশ্বাস রাখুন, তিনি দুআ কবুল করবেন। সাধারণত রাসূল ﷺ এই দুআ’ করতেন, ذَهَبَ الظَّمَأُ، وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‘তৃষ্ণা দূর হয়েছে, শীরাগুলো শীতল হয়েছে, এবং পুরষ্কার নিশ্চিত হয়েছে ইন শা আল্লাহ।’ অতএব দুআ কবুলের এই মোক্ষম সুযোগকে কাজে লাগান; এবং পৌঁছে যান আল্লাহর আরও নিকটে।
Read more

ইফতার সম্পর্কিত ৭টি টিপস যা আপনাকে কর্মমুখর রাখবে

রমাদানে শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে ইফতার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সহজসাধ্যতার কথা ভেবে অনেকে ইফতারের জন্য বেছে নেয় ফাস্ট ফুড, আবার কেউ আছেন সারাদিনের না খেয়ে থাকাটা পুষিয়ে নিতে হরেক আইটেম দ্বারা ইফতয়ার করেন। প্রথমমত ফাস্ট ফুড শ্রেণীর খাবারগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি, তথাপি গলা উঁচু করে খাওয়ার পরে শরীর মনে মারাত্মক কুপ্রভাব ফেলে। সারাদিন সিয়াম রাখার পর আমাদের শরীরকে স্বাস্থ্যকর খাবার দ্বারা পরিপুষ্ট করাই কল্যাণকর, সাথে এটাও নিশ্চিত করতে হবে সংযমের মাসটা ইফতারের সময়ে এসে যেন ভোজোৎসবের মাসে পরিণত না হয়। তাই ইফতারে কী খাবেন, কোন খাবার দিয়ে শুরু করা যেতে পারে, এ বিষয়ে ৭টি টিপস দেয়া হলো: . ১. ইফতার শুরু করুন খেজুর এবং পানি দ্বারা —ইফতারের জন্য খেজুর খুব স্বাস্থ্যকর খাবার এ জন্য যে, এতে রয়েছে শর্করা এবং এটা পুষ্টি উপাদানের পুঞ্জীভূত উৎসের মতো কাজ করে। তাছাড়া এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, খেজুর দিয়ে ইফতার করা রাসূল ﷺ-এর অভ্যাস ছিল। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ নামায পড়ার আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত, তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে। [সুনানে আবু দাউদ (২৩৫৬), সুনানে তিরমিযি (৬৯৬), ‘ইরওয়াউল গালিল’ গ্রন্থে ৪/৪৫ হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে] ২. শর্করা সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন —গোটা শস্য এবং খাদ্য শস্য জাতীয় খাবার প্রয়োজনীয় ক্যালরি এবং শর্করার যোগান দেয় যা থেকে শরীর সারাদিন বঞ্চিত ছিল। স্যান্ডউইচ বানানোর জন্য লাল রুটি ব্যবহার করুন। তাছাড়া আরো খেতে পারেন পাস্তা, যদি সেটা বানানো সহজ হয়। এগুলোতে রয়েছে পুষ্টি ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, আর এগলো শস্যের ভালো উৎস। (যা অন্ত্রের গতি নিয়ন্ত্রন করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।) ৩. ইফতারের সময় ভোজোৎসবে মেতে উঠবেন না —সারাদিন ক্যালরি থেকে বঞ্চিত থাকার পর খাবার গ্রহণ করতে আপনার পরিপাকতন্ত্র কিছুটা সময় নেয়, তাই আস্তে আস্তে, সহজভাবে খাওয়ার ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ সমস্যার উদ্রেক করতে পারে; আকস্মিক খাদ্য গ্রহণ গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টিনাল সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে; এটা পাকস্থলীকে হঠাৎ করে একসাথে প্রচুর এনজাইম নিঃসরণ করতে বাধ্য করবে, যা অস্বস্তির কারণ হবে। অতএব ধীরে ধীরে খাবার গ্রহণের কথা মনে রাখুন এবং খাবার ভালো করে চিবান। তাছাড়া প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেও সমাচিন নয়। ৪. খাদ্য তালিকার মাঝে তরল খাবার রাখুন এবং প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করুন —পানিশূন্যতা রোধে যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করুন। পানি বিষাক্ত পদার্থগুলোকে ধুয়ে বের করে দেয় এবং হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া টাটকা ফলের রস শর্করা, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের এক দারুণ উৎস। আপনি আরো খেতে পারেন মুরগীর স্যুপ বা ভাপে সিদ্ধ করার মুরগীর মাংস। এগুলো প্রোটিনে ভরপুর যা টিস্যু এবং পেশীতে শক্তি সঞ্চয়ে সাহায্য করে এবং শরীরকে সহজে ক্লান্ত হতে দেয় না। স্যুপ পুষ্টি এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভালো উৎস যা অবসাদগ্রস্ততা এবং পানিশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ৫. তৈলাক্ত খাবার এবং ভাজা-পোড়া এড়িয়ে চলুন —কারণ, এ ধরণের খাবার হজম হতে প্রচুর সময় নেয় এবং আপনাকে এমন একটা অনুভূতি দেয় যেন আপনার পেট ভরে গেছে, কিন্তু বাস্তবে এগুলো পুষ্টি চাহিদা মেটায় না বা আপনাকে পরিপুষ্ট করে না। এগুলো ইফতারের জন্য কোন আদর্শ মেন্যু নয়, এমনিতেও না। যাই হোক, যদি খেতেই হয় তবে রাতের খাবারের সময় অল্প একটু খেতে পারেন। ৬. সময় হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ইফতার করুন —এটা কি দিয়ে ইফতার করবেন সে সংক্রান্ত কিছু নয়, বরং কখন ইফতার করবেন সেটা নিয়ে। সময়মত ইফতার করা রমাদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। কারণ, অকারণে ইফতার করতে বিলম্ব করা বাঞ্ছনীয় নয়। সাহল ইবনে সাদ রাযি. বর্ণনা করেছেন যে, রাসূল ﷺ বলেছেনঃ “মানুষ কল্যাণের মাঝে থাকবে যতদিন তারা ইফতার করতে দ্রুততা অবলম্বন করে।” [বুখারী ও মুসলিম] ৭. ইফতার শেয়ার করুন —ইফতারে বরকত বাড়াতে পারেন আপনার প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, অভাবী এবং অন্য যে কোন সিয়ামরত মুসলিমের সাথে ইফতার শেয়ার করে। রাসূল ﷺ বলেছেন: যে কেউ একজন সিয়ামরত ব্যক্তির জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করে, তাহলে তার জন্যও সিয়ামরত ব্যক্তির অনুরূপ সওয়াব রয়েছে যদিও সিয়ামরত ব্যক্তির সওয়াবের কোনো কমতি হবে না। [ তিরমিযী ] . নফসকে নিয়ন্ত্রণ এবং হৃদয় ও আত্মাকে নিয়মানুবর্তী করার অসংখ্য সুযোগ আমাদের সামনে এনে দেয় রমাদান; আল্লাহর আরো অনুগত হতে সাহায্য করে। এটা আমাদের শরীরের যত্ন নেয়া এবং একে নিয়মানুবর্তী করার জন্যও উপযুক্ত সময়। এই শিক্ষাই আত্মস্থ করতে হবে, ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকব, তবে একই সাথে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে আমাদের শরীর স্বাস্থ্যকর খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে পাচ্ছে, যাতে সারাদিনের ক্লান্তি, অবসাদ, অস্বস্তি এবং পানিশূন্যতা দূর হয়ে যায়। আল্লাহ আমাদেরকে সুস্থ সুন্দর থেকে রমাদান মাসটা সর্বোচ্চ ব্যবহারের তাওফীক দিক।
Read more

যাকাত ৮ ধরণের

মানব জাতিকে একে অপরের সহযোগী করে সৃষ্টি করা হয়েছে। একটি সমাজের প্রত্যেকে আর্থিকভাবে সমশ্রেণী হবে, সবার একই পেশা থাকবে—এমনটা ভাবা বাস্তবতা বিবর্জিত। প্রত্যেক যুগেই ধনী-গরিব ছিল। কেউ কাজ করেছে, কেউ-বা পারিশ্রমিক দিয়েছে। এটাই সমাজের বৈশিষ্ট্য। তবে অস্বাভাবিক হচ্ছে যখন আর্থিক বৈষম্যটা আকাশ-পাতাল সমতুল্য হয়ে যায়। ফলে যারা ধনী, তারা আরও সম্পদের পাহাড় গড়তে পারছে; আর যারা গরিব, তারা দরিদ্রের কশাঘাতেই পিষে যাচ্ছে। . সৃষ্টির পূর্ব থেকেই আল্লাহ্‌ তাআলা জানতেন মানুষ জমিনে ফাসাদ করে বেড়াবে। আর তাই মানুষকে সঠিক পথে রাখতে পথনির্দেশ দিয়ে যুগে যুগে পাঠিয়েছেন নবি-রাসূল। এগুলো তাঁর দয়ার অংশ। তেমনি এই দয়ার একটি বহিঃপ্রকাশ হলো যাকাতের বিধান। সামাজিকভাবে যদি এর যথাযথ বাস্তবায়ন হয় তবে ধনী-দরিদ্রের এই আকাশচুম্বী ব্যবধান মিটে যাবে। এটা কোনো অনুমান নয়। ইসলামী ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল সোনালী দিনগুলোই এর জলজ্যান্ত প্রমাণ। . আসুন আজ জেনে নেয়া যাক, মানুষে মানুষে এই অস্বাভাবিক বৈষম্য দূরীকরণে আল্লাহ তাআলা যাকাতের কতগুলো পথ খোলা রেখেছেন।
Read more

ভালোবাসার আগে কিছু কথা…

১৪ই ফেব্রুয়ারী। এ দিনকে ঘিরে অনেকেই অনেক ধরণের পরিকল্পনা করছেন। কেউ গার্লফ্রেন্ডের জন্য চকলেট কিনেছে, কেউ বয়ফেন্ড্রের জন্য পাঞ্জাবী কিনেছে আবার কেউ হয়ত অন্ধকার ঘরে বসে চলে যাওয়া গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ডের স্মৃতিচারণ করে কাঁদছে কিংবা দিনটা কত খারাপ যাবে এই ভেবে বিষণ্ণতায় ভুগছে। . আপনারা হয়ত ভাবছেন, আমি এখন প্রাচীন রোমানদের ইতিহাসে ফিরে যাব এবং ফেব্রুয়ারী মাসের এমন সময়ে পালনীয় একটি ধর্মীয় উৎসব লুপারক্যালিয়া নিয়ে বলব। কিন্তু আজ আমি আপনাদের এমন কোনো ইতিহাস শোনাবো না যা সত্য হলেও আপনাদের কাছে রূপকথার গল্প বলে মনে হতে পারে; আমি আপনাদের কোনো কাছে আসার গল্পও শোনাবো না; বরং কাছে আসার পর না বলা একটি সত্য গল্প শোনাতে চাই।
Read more

কুরআন পড়ার ফজিলত

পবিত্র কুরআন পড়ার ফজিলত: ১। আবূ উমামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘‘তোমরা কুরআন মাজীদ পাঠ করো। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আগমন করবে’’। (মুসলিম ৮০৪) ২। নাওয়াস ইবনে সামআন (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘‘কুরআন ও ইহজগতে তার উপর আমলকারীদেরকে (বিচারের দিন মহান আল্লাহর সামনে) পেশ করা হবে। সূরা বাক্কারাহ ও সূরা আলে ইমরান তার আগে আগে থাকবে এবং তাদের পাঠকারীদের সপক্ষে (প্রভুর সঙ্গে) বাদানুবাদে লিপ্ত হবে। (মুসলিম ৮০৫) ৩। উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই; যে নিজে কুরআন শেখে ও অপরকে শিক্ষা দেয়’’। (বুখারী ৫০২৭) ৪। আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘কুরআনের (শুদ্ধভাবে পাঠকারী ও পানির মত হিফযকারী পাকা) হাফেয মহাসস্মমানিত পুণ্যবান লিপিকার (ফিরিশতাবর্গের) সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি (পাকা হিফয না থাকার কারনে) কুরআন পাঠে ‘ওঁ-ওঁ’ করে এবং পড়তে কষ্টবোধ করে, তার জন্য রয়েছে দুটি সওয়াব।” (একটি তেলায়ত ও দ্বিতীয়টি কষ্টের দরণ)। (বুখারী ৪৯৩৭, মুসলিম ৭৯৮) ৫। আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘কুরআন পাঠকারী মুমিনের হচ্ছে ঠিক কমলা লেবুর মত; যার ঘ্রাণ উওম এবং স্বাদও উওম।আর যে মুমিন কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক খেজুরের মত; যার (উওম) ঘ্রাণ তো নেই, তবে স্বাদ মিষ্ট। (অন্যদিকে) কুরআন পাঠকারী মুনাফিকের দৃষ্টান্ত হচ্ছে সুগন্ধিময় (তুলসি) গাছের মত; যার ঘ্রাণ উওম কিন্ত স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক মাকাল ফলের মত; যার (উওম) ঘ্রাণ নেই, স্বাদও তিক্ত।’’ (বুখারী ৫০২০, মুসলিম ৭৯৭) ৬। উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘ মহান আল্লাহ এই গ্রন্থ (কুরআন মাজীদ) দ্বারা (তার উপর আমলকারী) জনগোষ্ঠীর উত্থান ঘটান এবং এরই দ্বারা (এর অবাধ্য) অন্য গোষ্ঠীর পতন সাধন করেন’’। (মুসলিম ৮১৭) ৭। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) কর্তক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘দুজনের ক্ষেত্রে ঈষা করা সিদ্ধ। (১) যাকে আল্লাহ কুরআন (মুখস্ত করার শক্তি) দান করেছেন, সুতরাং সে ওর (আলোকে) দিবা-রাত্রি পড়ে ও আমল করে। (২) যাকে আল্লাহ তাআলা মালধন দান করেছেন এবং সে (আল্লাহর পথে ) দিন-রাত ব্যয় করে’’। (বুখারী ৫০২৫) ৮। বারা’ইবনে আযেব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘ একদা একটি লোক সূরা কাহাফ পাঠ করছিল। তার পাশেই দু’টো রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। ইতোমধ্যা লোকটিকে একটি মেঘে ঢেকে নিল। মেঘটি লোকটির নিকটবর্তী হতে থাকলে ঘোড়াটি তা দেখে চমকাতে আরম্ভ করল। অতঃপর যখন সকাল হল তখন লোকটি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দরবারে হাজির হয়ে উক্ত ঘটনা বর্ণনা করল। তা (শুনে) তিনি বললেন, ‘‘ওটি প্রশান্তি ছিল, যা তোমার কুরআন পড়ার দরণ অবতীর্ণ হয়েছে।’’ (বুখারী ৫০১১, মুসলিম ৭৯৫) ৯। আব্দল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব ( কুরআন মাজীদ) এর একটি বর্ন পাঠ করবে ,তার একটি নেকী হবে। আর একটি নেকি দশটি নেকীর সমান হয়। আমি বলছি না যে, ‘আলিফ-লাম-মীম’ একটি বর্ন; বরং আলিফ একটি বর্ন, লাম একটি বর্ন, মীম একটি বর্ন।’’ (অর্থাৎ, তিনটি বর্ন দ্বারা গঠিত ‘আলিফ-লাম-মীম’, যার নেকীর সংখ্যা হবে তিরিশ।) (তিরমিযী ২৯১০, হাসান) ১০। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) কর্তক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘পবিত্র কুরআন পাঠক, হাফেয ও তার উপর আমলকারীকে ( কিয়ামতের দিন) বলা হবে, ‘তুমি কুরআন কারীম পড়তে থাকো ও চড়তে থাকো। আর ঠিক সেইভাবে স্পষ্ট ও ধীরে ধীরে পড়তে থাকো, যেভাবে দুনিয়াতে পড়তে। কেননা , (জান্নাতের ভিতর) তোমার স্থান ঠিক সেখানে হবে, যেখানে তোমার শেষ আয়াতটি খতম হবে।” ( আবূ দাউদ ১৮৬৮, তিরমীযি ২৯১৪ হাসান)
Read more