গত মে মাসে অনেক বই পাঠক-জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আসুন জেনে নিই এর মধ্যে বেস্ট সেলিং ২০টি বইগুলোর নাম এবং সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
লেখক : আবু যারীফ
রাগ নেই এমন মানুষ মেলা ভার। কিন্তু রাগের সময় আমরা ক’জন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি? হলফ করে বলতে পারব, রাগ আমাদের কাবু করে ফেলে না?
‘রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন’ বইতে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল আলোচনা করা হয়েছে। রাগ কেন জাগে, কীভাবে আসে, বৈধ রাগ, রাগ নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষামূলক ঘটনা, উপদেশ সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই বইতে স্থান পেয়েছে।
নফসের বিরুদ্ধে লড়াই
লেখক: মাহমুদ বিন নূর
নফস কী? লাগামহীন নফসের দ্বারা আমরা কীভাবে প্রভাবিত? এর দ্বারা আমরা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত? এর দ্বারা আমাদের কী কী ক্ষতি হচ্ছে? কোন গোনাহ কার দ্বারা হচ্ছে? কে সবচে’ বড় শত্রু? নফসের ব্যাধি কী কী? নফস নিয়ন্ত্রণ করবো কীভাবে? নফস নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আমরা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবো, ইত্যাদি আরো কিছু বিষয় নিয়ে এই বইয়ে তাত্ত্বিক আলোচনা করা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
যাহোক, গোনাহ থেকে বিরত থাকতে, আর নেক কাজে অগ্রসর হতে সর্বপ্রথম আমাদের নফসের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করতে হবে। নিজের মধ্যে লাগামহীন নফস পুষে কখনো গোনাহ থেকে বিরত থাকা যাবে না। মনে রাখবেন, নফস ঠিক তো সব ঠিক। তাই, সর্বপ্রথম আমাদের নফসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আর এই লড়াইয়ে বক্ষমান বইটি আপনার আমার জন্য খুবই উপকারী হবে, ইন শা আল্লাহ।
বেলা ফুরাবার আগে
লেখক: আরিফ আজাদ
নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। যে ভুল আর ভ্রান্তির মোহে, অন্ধকারের যে অলিগলিতে আমাদের এতোদিনকার পদচারণা, তার বিপরীতে জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজের নাম লিখিয়ে নিতে একটি সহায়ক গ্রন্থ এই বই, ইন শা আল্লাহ।
ভুলোমনা একঝাঁক তারুণ্যের জন্য এই বই। যে ভুলের গহ্বরে তারা জীবনের বসন্তগুলোকে পার করছে, সেই ভুল থেকে তাদের ‘বেলা ফুরাবার আগে’ টেনে তুলতেই এই বইটার অবতারণা।
‘চোখের রোগ’, ‘বলো, সুখ কোথা পাই’, ‘বেলা ফুরাবার আগে’, ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’, ‘যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা’, ‘চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়’, ‘বসন্ত এসে গেছে’, ‘তুলি দুই হাত করি মোনাজাত’, ‘চলো বদলাই’ নামের আঠারোটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে, ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়।
ঘুরে দাঁড়াও
লেখক : ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
ঘুরে দাঁড়াও বইটি পর্ন-আসক্তি থেকে মুক্তিলাভের প্রেসক্রিপশন। তবে এই বইয়ের নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে পারলে শুধু আসক্তি থেকে মুক্তিলাভ করবেন এমন নয়, আপনি সত্যিকার অর্থেই একজন আত্মপ্রত্যয়ী সফল মানুষ হতে পারবেন।
ভাববেন না এই বইটি গৎবাঁধা উপদেশমালা কিংবা অনুপ্রেরণামূলক কথাবার্তায় ভরপুর। একটি কথা আছে, উইল-পাওয়ার বা ইচ্ছাশক্তি দিয়ে সবকিছু হয় না, কিন্তু একটি কার্যকর সিস্টেম দিয়ে হয়। এই বইতে সেই সিস্টেমেটিক প্রসেসগুলোই সবিস্তারে বলা হয়েছে। বইটি একটানে পড়ে সেলফে উঠিয়ে রাখলে কোনো লাভ হবে না। এর প্রতিটি অধ্যায় আসলে এক-একটি এক্সারসাইজ। আপনি প্রথম অধ্যায় শেষ করবেন—নিজের ওপর প্রয়োগ করবেন। পরবর্তী অধ্যায় শেষ করবেন—নিজের ওপর প্রয়োগ করবেন। এভাবে চর্চা করে করে পড়ে যেতে হবে।
অলসতা : জীবনের শত্রু
লেখক : ড. খালিদ আবু শাদি
অলসতা কোনও মন্ত্রী-মিনিস্টার চেনেনা। বৃদ্ধ, যুবক, পুরুষ, নারী, দ্বীনদার, দুনিয়াদার—সকলেই অলসতার আক্রমণের শিকার হতে পারে। তাই এব্যাপারে সবার সমান সচেতন হওয়া চাই। আপাতদৃষ্টিতে ব্যক্তি যতই পরিশ্রমী হোক, সচেতনতার প্রশ্নে সে-ও আলাদা কেউ নয়। ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহিমাহুল্লাহ) বড় যথার্থ বলেছেন,
‘লক্ষ্য অর্জনে প্রতিটি পরিশ্রমী ব্যক্তিকেই আলস্যও বিরতির মুখোমুখি হতে হয়।’ [মাদারিজুস সালিকিন, ১/২৭৮]
বইটি পড়ে আমল করার মাধ্যমে পাঠক তার অলসতাও দুর্বলতা অনেকাংশেই কমিয়ে আনতে পারবে। এরপরও যদি আলস্য চলেই আসে, তবে তার সাথে কেমন হবে আপনার আচরণ, কীভাবে তাকে প্রথম সুযোগেই ঘরের দুয়ার থেকে তাড়ানো যায়—সে সম্পর্কেও বইটিতে আলোকপাত করা হয়েছ।
মুসলিম ম্যারেজ
লেখক : সালমান রহমান
বিয়ের আসল সময় কোনটি? কেন যথাসময়ে বিয়ে করা উচিত? সামাজিক কুসংস্কার, মিথ্যে ক্যারিয়ারের আশা এবং অন্যায় আইন কীভাবে যথাসময়ে বিয়েতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে? এর প্রতিকার কী? কোরআন হাদিস ও বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণ ভিত্তিক এসব বিষয় নিয়েই সাজানো হয়েছে এই বই। ফলে এটি শুধু বই নয়, একটি নষ্ট নিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের বিপ্লব।
চিন্তার পরিশুদ্ধি
লেখক : শাইখ আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ
একজন মানুষ যখন ভুল পথে চলে, কিন্তু আল্লাহ-ইসলাম-আখিরাত সম্বন্ধে তার বিশ্বাস, বুঝ সঠিক ও বিশুদ্ধ থাকে, তখন তার পেছনে সামান্য চেষ্টা করলেই তাকে ফিরিয়ে আনা যায়। কিন্তু যখন কারও স্বয়ং দ্বীনি বুঝের মধ্যেই বিচ্যুতি ঘটে, তখন প্রথমে তার দ্বীনি বুঝ ঠিক করতেই অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন। এরপর তার কাজে ঠিক করতে আরও সময় লাগে। বর্তমান ইসলামি বিশ্বের এটাই বাস্তবতা। এজন্য দ্বীনি বুঝের বিচ্যুতি রেখে আমরা মানুষের আমল ঠিক করার ব্যাপারে যত চেষ্টাই ব্যয় করি না কেন, তা কখনোই পরিপূর্ণ ফল বয়ে আনবে না। এ চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করার লক্ষ্যেই শাইখ মুহাম্মাদ কুতুবের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘চিন্তার পরিশুদ্ধি’ বইটি। অনন্যসাধারণ এ গ্রন্থটি বর্তমান মুসলিম পাঠকদের মাঝে খুলে দেবে সঠিক চিন্তাভাবনার দুয়ার। তারা বুঝতে পারবে, শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সাথে তাদের বর্তমান অবস্থার এত বিশাল ব্যবধানের মূল কারণ। আর নিজেদের শুধরে নিয়ে গ্রহণ করতে পারবে সঠিক প্রয়াস।
রুকইয়াহ
লেখক : আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ
আমরা অনেকেই হয়ত জানি না, বদনজর, জাদুটোনা, জিনের আছর ইত্যাদির চিকিৎসা নিয়ে ইসলামে বিস্তর আলোচনা আছে। রাসূল (ﷺ), সাহাবায়ে কেরাম থেকে শুরু করে উম্মতের সোনালী মানুষেরা, সবাই এগুলোর চিকিৎসা করেছেন এবং করিয়েছেন। ‘রুকইয়াহ’ বইটি সেসব চিকিৎসা নিয়েই। এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে বেস্ট সেলিং বই। আমাদের চারপাশে যখন কালো জাদু, তান্ত্রিকদের চটুল কবিরাজিতে ছয়লাপ হয়ে পড়ছিল, তখন আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদের লেখা এই বই টেবিল ঘুরিয়ে দেবার মতো ভূমিকা রাখে। পাঠকরা মুড়ির মতো কিনেছেন বইটি।
আত্মার ব্যাধি গীবত
লেখক : ওবায়দুল ইসলাম সাগর
‘আত্মার ব্যাধি গীবত’ বইটি এমন এক টপিকে লেখা, যার ব্যাধিতে আক্রান্ত গোটা সমাজ, পরিবার, রাষ্ট্র। এমতাবস্থায় এই মারাত্মক ব্যাধির প্রতিষেধক হিসেবেই বইটি কাজ করবে ইনশাআল্লাহ। বইটিতে গীবতের খুটিনাটি বিস্তর ও সহজ সাবলীল ভাষায় আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া কখন অন্যের সমালোচনা করা সাওয়াবের কাজ, সেটাও এই বইতে স্থান পেয়েছে।
সংশয়বাদী
লেখক : ড্যানিয়েল হাকিকাতজু
আমরা দিনরাত পরিশ্রম করি নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য। হাড় ভাঙ্গা খাটুনী, এত এত রাতজাগা, ঘামঝরা দিনাতিপাত—এসব কিছুর পেছনে মূল কারণ কিন্তু একটাই, একটু ভালো থাকা, পরিবারকে ভালো রাখা। কিন্তু কড্যানিয়েল হাক্বিকাতযু। হালের একজন দা’ঈ ইলাল্লাহ। দীর্ঘদিন ধরেই বক্তব্য আর লেখালেখির মাধ্যমে লিবারেলিসম, সেক্যুলারিসম, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, নারীবাদ সহ বিভিন্ন মতবাদগুলোর পেছনের ধারণা ও প্রস্তাবনাগুলোর ব্যবচ্ছেদ তিনি করে আসছেন। “সংশয়বাদী” বইটিতে নাস্তিকতা, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, নারীবাদ, মডার্নিটি, বিজ্ঞানবাদ, লিবারেলিসম ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামের আলোকে চমৎকার আলোচনা এনেছেন তিনি।
নীড়ে ফেরার আহবান
লেখক : দীপ্তিময়ী টিম
“নীড়ে ফেরার আহ্বান” এমন একটি বই, যে বইতে এক ঝাঁক দ্বীনি বোন আপনাদের অতৃপ্ত আত্মাকে নীড়ের সন্ধান পেতে সাহায্য করবে। যে নীড়ে ফিরে আপনাদের আত্মা প্রশান্তিতে ভরে উঠবে। যে আলো আপনাকে সত্যের পথ দেখাবে। ইন-শা-আল্লাহ আপনার আত্মার হারিয়ে যাওয়া সেই নীড়কে খুঁজে পেতে সহায়ক হবে আমাদের এই বইটি। দ্বীনের পথে অটল থাকার পরও মাঝেমাঝেই কিছু কষ্ট আমাদের এমনভাবে গ্রাস করে যে আমরা তখন হয় নিজেকে, না হয় রবকে দোষারোপ করি৷ আমরা অধৈর্য হয়ে পড়ি। এমনই সব দুর্বিষহ জীবনের নীড়হারা মানুষদের নীড়ের সন্ধান দিতেই আসছে, “নীড়ে ফেরার আহ্বান।”
মুসলিম জাতির ইতিহাস (দুই খন্ড)
লেখক : ড. সুহাইল তাক্কুশ
বাংলা ভাষাভাষী মুসলিমদের ইতিহাস চর্চার অঙ্গনে একেবারেই নতুন সংযোজন হতে যাচ্ছে ড. সুহাইল তাক্কুশ এর সাড়া জাগানো গ্রন্থ ‘ মুসলিম জাতির ইতিহাস’। তাক্কুশ বাংলাদেশী পরিমণ্ডলে এখনো ততটা পরিচিত নন যদিও, তথাপি আশা করা যায় এই বইটির মাধ্যমে তিনি ইতিহাস পাঠকদের হৃদয়ের মনিকোঠায় জায়গা করে নিবেন খুব শীঘ্রই। ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে বাংলায় এখন পর্যন্ত বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশিত হলেও সুহাইল তাক্কুশের লেখায় রয়েছে কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য। তিনি প্রাক-নববী যুগ থেকে নিয়ে উসমানি খেলাফতের পতন পর্যন্ত সময়ের ধারাবাহিক ইতিহাস অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ও নির্মোহ দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেছেন এই গ্রন্থে। অল্প কথায় এই পুরো সময়কালের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ উল্লেখ করার পাশাপাশি বিস্তারিত ও খুঁটিনাটি বিবরণের চেয়ে বিশ্লেষণ ও সামগ্রিক মূল্যায়নকে প্রাধান্য দিয়েছেন বেশি। ফলে ইতিহাস কেবল জানাই নয়, এখান থেকে ইতিহাস অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের পাথেয় খুঁজে পাবেন পাঠক।
প্রত্যাবর্তন ২
লেখক : সমকালীন সংকলন টিম
তারা ডুবে ছিলেন ভোগবিলাসিতায়, প্রাচুর্য আর লোভ-লালসায়। গাড়ি, বাড়ি, অর্থকড়ি, সম্মান ও যশখ্যাতি—সবই ছিল তাদের জীবনে। ছিল না কেবল মানসিক প্রশান্তি। তাদের অন্তরে ছিল অন্তহীন এক অতৃপ্তি। কীসের যেন এক শূন্যতা। হৃদয়জুড়ে এক নীরব আর্তনাদ। দিনের পর দিন প্রার্থনায় লীন হয়েছেন তারা। সত্যকে খুঁজে পেতে কখনো দিনরাত গবেষণা, কখনো-বা করেছেন জ্ঞানীদের সাথে বৈঠক-আলোচনা।অবশেষে মহান আল্লাহর অশেষ করুণায় তাদের সামনে উন্মোচিত হয় এক আলোকিত পথ। সেই সাথে নেমে আসে কালবোশেখী ঝড়। লন্ডভন্ড হয়ে যায় তাদের এতদিনের সাজানো পৃথিবী। পাহাড়সম বাধা, কল্পনাতীত পরীক্ষা আর সীমাহীন যন্ত্রণা তাদের পথ আগলে দাঁড়ায়। তবু তারা সত্যের পথে অবিচল থাকে। আল্লাহকে ভালোবাসে তারা আঁকড়ে ধরে ইসলাম। খ্রিষ্টবাদ ছেড়ে ইসলামে আসা পাদরিদের এমনই অশ্রুভেজা, ঈমানদীপ্ত, বাস্তব সব ঘটনায় গড়ে উঠেছে আমাদের এবারের আয়োজন—‘প্রত্যাবর্তন ২.০’।
ফাহমুস সালাফ : দীন বোঝার কষ্টিপাথর
লেখক : ইফতেখার সিফাত
ইসলামকে বিকৃত করে পশ্চিমা সভ্যতা ও মতাদর্শগুলোর সাথে সামঞ্জস্যশীল করার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো সালাফে সালেহিনের মুতাওয়ারিস ফাহম। এজন্য পশ্চিমের প্রাচ্যবাদী বিভিন্ন সংস্থাও সালাফে সালেহিনের ফাহমের তিরস্কার করেছে। দীনের এই মুতাওয়ারিস ফাহম ও ইলমকে জড়, আবদ্ধ, পুরাতন, কট্টর ইত্যাদি শব্দে আখ্যায়িত করেছে। তা ছাড়া আমরা দেখব, সমস্ত ভ্রান্ত ফিরকাসহ পশ্চিমা সভ্যতা দ্বারা প্রভাবিত মডার্নিস্ট স্কলার ও মুসলিম দীনের মুতাওয়ারিস ফাহম ও মানহাজের তোয়াক্কা করে না; বরং তারা বিভিন্ন স্লোগান ও ভ্রান্ত যুক্তির আড়ালে মুতাওয়ারিস এই ধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও গুরুত্বহীন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। ফলে আধুনিক সময়ে সালাফে সালেহিন থেকে প্রাপ্ত মুতাওয়ারিস ফাহম ও মানহাজের ওপর যত প্রকার আঘাত আসছে এবং বিষয়টি কেন্দ্র করে যত প্রকার নৈরাজ্য চালানো হচ্ছে, সেগুলো দমন করার জন্য বিষয়টি উম্মাহর সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা জরুরি। সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই পরিবেশনা।
সুদ হারাম, কর্জে হাসানা সমাধান
লেখক : মোহাইমিন পাটোয়ারী
সুদ হারাম, সুদের ৪টা প্রকারের নাম বলতে পারবেন? আপনি যদি না জানেন কী কী কারণে ও কীভাবে লেনদেন করলে সুদ হয়, তাহলে সুদ থেকে বাঁচবেন কী করে? দ্বীনের হালাল-হারামের জ্ঞান অর্জন আপনার উপর ফরজ, সেই ফরজটা কি তাহলে অর্জিত হয়েছে? কখনো টাকা ঋণ নিয়েছেন? কাউকে ঋণ দিয়েছেন? সুদ খেয়েছেন কখনো? সুদ দিয়েছেন? সুদ দিলে বা নিলে কি ক্ষতি হয় জানেন? এত মানুষ সুদে জড়িয়ে পড়ছে কেন? সুদ এত ‘উপকারি’, তাহলে বাড়ছে কেন ‘দরিদ্রতা’?!
কর্জে হাসানা কী? কর্জে হাসানা দিলে কি কারো ক্ষতি হয়? কর্জে হাসানা দিলে সমাজ আর সংসারের উন্নতি কীভাবে হয়? কর্জে হাসানা দিলে কি সমাজ সুদমুক্ত হবে? শুধু টাকা দিয়েই কর্জে হাসানা হয়, নাকি সোনা-রুপা-চাল-ডাল দিয়েও হয়? দেশে হাজার কোটি টাকার কর্জে হাসানা ফান্ড থাকলে কী হত? দুনিয়াতে কি বড় কোনো কর্জে হাসানা ফান্ড আছে? কীভাবে কাজ করে তারা? উত্তরগুলো বইয়ের ভেতর।
আল কুরআনের ভাষা
লেখক : এস এম নাহিদ হাসান
কুরআনিক আরবী শিক্ষার মানসে সংকলিত “আল-কুরআনের ভাষা” বইটির রচনা একটি সমন্বিত প্রয়াস, যা গড়ে উঠেছে অনেকগুলো বইয়ের সমন্বয়ে। এর মধ্যে বিশেষ করে ডঃ ভি. আব্দুর রহীম এর মদীনা বুক সিরিজ, দারুস সালামের Learning Arabic Language of The Quran , করাচীর আল বুশরা পাবলিকেশন্সের Lissan-ul-Quran এবং ডঃ ফজলুর রহমান সারের “আরবী ব্যাকরণ” উল্লেখযোগ্য।বইটির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো:
– বর্ণ থেকে শুরু।
– তত্ত্বের সহজ ও পর্যায়ক্রমিক উপাস্থপন।
– প্রতিটি অধ্যায়ের সাথে কুরআনের উদাহরণ।
– তত্ত্বের ডায়াগ্রামাটিক উপস্থাপন
– মদীনা বুক সিরিজের সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে উপযুক্ত।
– প্রতিটি কনসেপ্টের সাথে অনুশীলনী
– নিজে নিজে শেখার উপযোগী
সবর : ভরসা রাখুন আল্লাহর ওপর
লেখক : নোমান আলী খান
বইটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে—অধৈর্য এবং হতাশা কখনো পরিস্থিতির উন্নতি আনতে পারে না বরং অন্তরের ব্যথা আরো বাড়িয়ে দেয় । কিন্তু ধৈর্য কষ্টকে সহনীয় করে তোলে, বিপদ থেকে উদ্ধারের পথ সহজ করে দেয় এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়। এ ছাড়া পশ্চিমা-সভ্যতা ও মিডিয়া তাড়িত সফলতার ভুল সংজ্ঞাকে যুক্তিসঙ্গতভাবে খণ্ডন করা হয়েছে । আর প্রকৃত সফলতা এবং বিপর্যয় থেকে মুক্তির পথ কুরআন ও হাদিসের আলোকে বাতলে দেওয়া হয়েছে। আশাকরি জীবনের ছন্দ খুঁজে পেতে এবং চূড়ান্ত সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বইটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এহইয়াউস সুনান
লেখক : ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
আজ আমরা এমন যুগে বাস করছি, যেখানে সুন্নাতের নামে নানান নব উদ্ভাবিত রীতি নীতির জয়জয়কার। প্রশ্ন হলো বিদআত কী? কীভাবে এর উৎপত্তি? বিদআতের কুফল, আমাদের সমাজে কী কী বিদআত প্রচলিত আছে, কীভাবে আমরা বিদআতকে হটিয়ে নবীজির সুন্নাহ প্রতিষ্ঠা করব, এমন সব অতিব জরুরী বিষয় নিয়েই বইটি রচিত।
দোস্ত, জানেমান
লেখক : মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ
বইটির ছত্রে ছত্রে বিম্বিত হয়েছে, গ্রাম-বাংলার শাপলা-শালুকছোঁয়া কোমলমেদুর আখ্যানের বিশ্বের প্রান্তে কুলকুল করে বয়ে চলা জীবনের নানামুখী সৌন্দর্য। এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য হচ্ছে দাওয়াহ, সেবা, উম্মাহচিন্তা, চরম প্রতিকূল পরিবেশে উম্মাহর সুরক্ষা, রাজনীতি, শিক্ষকতা, দাম্পত্য ইত্যাদি। বইটি হতে পারে আপনার পাঠডানার অপূর্ব এক পালক।
ইসলামে দাস-দাসী ব্যবস্থা
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীন
এক. বইটিতে পরাজিত মানসিকতায় প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণের পরিবর্তে ইউরোপীয় দর্শনকে প্রশ্নবাণে আক্রমণ করা হয়েছে।
দুই. শান্তি ও মানবতার দাবিদার পুঁজিবাদী বিশ্বের হর্তাকর্তাদের চাপিয়ে দেওয়া আধুনিক দাসপ্রথার নির্মম অথচ অনিন্দিত (যার নিন্দা করা হচ্ছে না) চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তিন. মূল বিষয়বস্তুর সাথে কোনোভাবে প্রাসঙ্গিক, এমন বিষয়গুলোর অত্যন্ত তথ্যপূর্ণ আলোচনা এসেছে। উদাহরণস্বরূপ কনসেন্ট বা সম্মতির কথা বলা যায়। কনসেন্টের পশ্চিমা দর্শনের ওপর ভিত্তি করে চলছে যতসব লিবারেল যৌন অসভ্যতা। লেখক অত্যন্ত চমৎকারভাবে কনসেন্টের ধারণার অসম্পূর্ণতা ও ক্ষতিকে তুলে ধরেছেন। এমন আরও অনেক বিষয়েরই আলোচনা এসেছে যা পড়ার সময়ই পাঠক দেখতে পাবেন।
Leave a Reply