আপনি কি স্কলারশিপের কথা ভাবছেন?
যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে এই লেখাটা আপনার জন্য।
১। নিজের যোগ্যতা যাচাই
প্রথমে আমি কি স্কলারশিপ অর্জনের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছি?—এই প্রশ্ন নিজেকে করুন। কতটুকু দক্ষতা বা যোগ্যতা অর্জন করেছেন (যেমন: জিআরই, টোফেল, আইইএলটিস, রিসার্চ অভিজ্ঞতা, পাবলিকেশন, চাকরির অভিজ্ঞতা ইত্যাদি), তার একটা চেকলিস্ট বানান। এরপর পছন্দের দেশগুলোতে স্কলারশিপ পাওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা কী কী প্রয়োজন, সেটাও লিখুন। যেমন : অস্ট্রেলিয়াতে স্কলারশিপ পেতে ভালো জার্নালে সায়েন্টিফিক পেপার পাবলিশ করতে হয়, আমেরিকায় ফান্ডিং পেতে জিআরই স্কোর লাগে। অন্যদিকে চীন, জাপান, তুরস্কে ইংরেজি ভাষার টেস্ট স্কোর তেমন বড় কোনো ইস্যু নয়।
২। নিজের ব্যাকগ্রাউন্ডে আগে খুঁজুন
অনার্স বা মাস্টার্স যে বিষয়ে করেছেন, সেই সংক্রান্ত স্কলারশিপ কোন কোন দেশে দেওয়া হয়, তা নিয়ে ঘাটাঘাটি করুন। যেমন : জার্নালিজমের জন্য হল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে এমন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম রয়েছে, প্রতিবছর একটা নির্দিষ্ট সময়ে যেসবের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। টার্গেট স্কলারশিপ অর্জনে কী কী যোগ্যতা চেয়েছে, তা জানুন। যেমন : সুইডেন মাস্টার্স লেভেলে স্কলারশিপ দেয়, যার প্রধান বৈশিষ্ট্য—দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৩। অনুকূল পরিবেশ সন্ধান
দেশ বা এলাকার আবহাওয়া, বসবাস করার খরচ, নির্দিষ্ট কমিউনিটি আছে কি না (যেমন : মুসলিম)—এই বিষয়গুলো উপযুক্ত স্কলারশিপ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪। যেখানে প্রতিযোগিতা কম
এমন স্কলারশিপ খুঁজে বের করুন, যেখানে প্রতিযোগিতা কম হয়। অতি পরিচিত স্কলারশিপ যেমন : কমনওয়েলথ বা শ্যাভেনিং স্কলারশিপে অনেকে আবেদন করে। তাই সেটা অর্জন করা কঠিন, কিন্তু প্রায় সব উন্নতমানের বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট বিভাগ বা স্কুলকেন্দ্রিক স্কলারশিপ দেয়, যেগুলো ফলাও করে প্রচারিত হয় না। ঠিকমতো না ঘাটলে সেই তথ্য চোখে পড়বে না। তেমননিভাবে অনেক ফাউন্ডেশন বা ইন্ডাস্ট্রি স্কলারশিপ (যেমন : জাপান, জার্মানি), সেগুলোও বিবেচনায় রাখুন। নিচের সেকশনে বিভিন্ন দেশের স্কলারশিপ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট লিংক যুক্ত করা হয়েছে যাতে বিস্তারিত জানতে পারেন।
৫। অনলাইন প্লাটফর্মের ব্যবহার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন দেশভিত্তিক উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ভর্তি বা স্কলারশিপ নিয়ে পেইজ রয়েছে। সেগুলোকে অনুসরণ করুন। তাহলে অনেক নতুন নতুন তথ্য পেতে পারেন। স্কলারশিপ-সংক্রান্ত ইন্টারনেটে ভালো ভালো ব্লগ সাইটও আছে, সেগুলো থেকেও অনেক তথ্য পেতে পারেন।
৬। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যবহার
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে বিভিন্ন দেশ (চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হাংগেরি, সুইডেন ইত্যাদি) প্রতিবছর তাদের অ্যাম্বেসি এবং বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমেও কিছু স্কলারশিপ বরাদ্দ করে। এই সম্পর্কে তথ্য জানতে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চোখ রাখতে হবে- http://www.moedu.gov.bd/
৭। সরকারি মাধ্যম
বাংলাদেশ সরকারও উচ্চশিক্ষার জন্য কিছু ফান্ডিং করে, যেমন : Prime minister fellowship (http://giupmo.gov.bd/), Bangabandhu Science and Technology (http://www.bstft.gov.bd/)। এ ছাড়া আরো অনেক স্কলারশিপ রয়েছে। যেমন: World Bank Scholarship Program, TWAS grants for PhD, Aga khan Scholarship ইত্যাদি।
কী-ওয়ার্ড দিয়ে গুগল সার্চ করলে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।
উচ্চশিক্ষা বিষয়ক এরকম আরও টিপস পেতে পড়ুন: বিসিএস নাকি বিদেশে উচ্চ শিক্ষা
Leave a Reply