যেসব আমল করলে সহজেই জান্নাতে নবীজি সা.-এর সান্নিধ্য লাভ করা যাবে:
বেশি বেশি সিজদা ও নফল নামাজ পড়া
রবীআহ্ ইবনু কা’ব (রাদ্বি.) বলেন, আমি রাতের বেলা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে থাকতাম। ওযুর পানিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন মিসওয়াক, জায়নামায ইত্যাদি এগিয়ে দিতাম। একদিন তিনি (সা.) আমাকে বললেন, (দীন-দুনিয়ার কল্যাণের জন্য যা কিছু চাও) চেয়ে নাও। আমি নিবেদন করলাম, আমার তো শুধু জান্নাতে আপনার সান্নিধ্য লাভই একমাত্র কাম্য। তিনি (সা.) বললেন, এছাড়া আর কিছু চাও? আমি বললাম, এটাই আমার একমাত্র আবেদন। তিনি বললেন, তুমি বেশি বেশি সিজদা করে (এ মর্যাদা লাভের জন্য) আমাকে সাহায্য করো। (মুসলিম ৪৮৯, আবূ দাঊদ ১৩২০)
কন্যাসন্তান ও বোনদের প্রতিপালন করা
আনাস (রাদ্বি.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুটি মেয়েকে সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করবে, কেয়ামতের দিন আমি এবং সে এ দুটি আঙ্গুলের মতো পাশাপাশি আসবো (অতঃপর তিনি তার আঙ্গুলগুলি মিলিত করে দেখালেন)’। (মুসলিম ২৬৩১, তিরমিজি ১৯১৪)
ইয়াতিমের দায়িত্ব গ্রহণ করা
রাসুল (সা.)বলেন, ‘আমি ও ইয়াতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকব’—এ বলে তিনি তাঁর তর্জনী ও মধ্যমা অঙ্গুলি দিয়ে ইঙ্গিত করেন এবং এ দুটির মধ্যে একটু ফাঁক করেন।’ (সহীহ বুখারি ৫৩০৪)
নবীজিকে ভালোবাসা
আনাস (রাদ্বি.) হতে বর্ণিত। একদিন জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামত কখন হবে? তিনি (সা.) বললেন, তোমার জন্য পরিতাপ। কিয়ামতের জন্য তুমি কী প্রস্তুত করেছ? সে জবাবে বলল, আমি কিছুই করিনি, তবে আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.)-কে ভালোবাসি। তিনি (সা.) বললেন, তুমি তার সাথেই হবে যাকে ভালোবাসো।’ (হাদীস বর্ণনাকারী) আনাস (রাদ্বি.) বলেন, ইসলাম আবির্ভাবের পর মুসলিমদেরকে আমি কোনো কথায় এতটা খুশি হতে দেখিনি, যতটা তারা খুশি হয়েছিল রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এই কথাতে। (বুখারী ৬১৬৭, মুসলিম ২৬৩৯)
উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যার চরিত্র ও ব্যবহার ভালো, সে আমার কাছে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় এবং কিয়ামতের দিন সে আমার সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করবে।” (তিরমিজি ২০১৮)
Leave a Reply