আপনি কি কুরআন ভুলে যাচ্ছেন?

নবীজি সা. বলেছেন, “এটা খুবই খারাপ কথা যে, তোমাদের কেউ বলে, আমি কুরআনের অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি; বরং তাকে তো ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। কাজেই তোমরা কুরআন তিলাওয়াত করতে থাকো। কারণ, তা মানুষের অন্তর থেকে উটের চেয়েও দ্রুত গতিতে চলে যায়।” (তিরমিযি, ২৯৪২)

বিষয়টা জীবনের সকল ক্ষেত্রেই ধ্রুব সত্য। চর্চা না থাকলে কাজে অনেক পারদর্শী মানুষও সবার থেকে পিছিয়ে পড়ে। একজন ভালো সাতারু যদি দীর্ঘ বছর সাতার না কাটে, স্বাভাবিকভাবেই তার গতি কমে যাবে। একজন মেরাথন রানার যদি কয়েক বছরের জন্য প্রাক্টিস ছেড়ে দেয়, তাহলে তারও গতি খুব কমে যাবে। আসলে চর্চা এমন জিনিস, ছেড়ে দিলে পিছিয়ে পড়তে হয়।

একই কথা কুরআনের বেলাতেও প্রযোজ্য। ছোটবেলায় মুখস্থ করা সূরাগুলো মাঝে মাঝে রিভাইজ না করলে দেখবেন, অনেক ভুলভাল পড়ছেন। মাখরাজ ছুটে যাচ্ছে, তাজবিদ ঠিক হচ্ছে না, কখনও কখনও তো শব্দই পাল্টে ফেলে আমাদের মন! এজন্য কুরআনের সাথে লেগে থাকা জরুরী।

এক্ষেত্রে ভালো একটা পদ্ধতি হলো নামাজের মধ্যে তিলাওয়াত করা। বিশেষ করে সুন্নত, নফল নামাজের মধ্যে। আমাদের বদঅভ্যাস হচ্ছে, আমাদের যত ব্যস্ততা নামাজের সময় চলে আসে। ফলে ছোট ছোট সূরা দিয়েই মাসের পর মাস, বছরের পর বছর নামাজ পড়ে উঠে যাই। শেষ পারার বড় সূরাগুলো মুখস্থ থাকলেও সেগুলো পড়ি না। এভাবে অনেক পারা সূরাও আমরা ভুলে যাই।

তাই যখনই নামাজ শুরু করবেন, চেষ্টা করবেন এর আগে একটু কুরআন তিলাওয়াত করে নেবার। যে সূরাগুলো পারে, হোক সেটা ছোট বা বড়, রিভাইজ করবেন। মাখরাজ, তাজবিদের জায়গাগুলো চেক দেবেন, আসলেই আপনি না দেখে ঠিক ঠাক পড়ছেন কিনা। সূরা একটু বড় হলে প্রয়োজনে অংশ ভাগ করে করে রাকাতগুলোতে পড়ুন। এতে যেমন পড়াগুলো ঝালাই হবে, তেমনি আপনার নামাজ হয়ে উঠবে আগের চাইতে আরও বেশি সুন্দর, আরও বেশি অর্থপূর্ণ।


by

Tags:

Comments

One response to “আপনি কি কুরআন ভুলে যাচ্ছেন?”

  1. Mehedi Avatar
    Mehedi

    JajakAllah

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *