ছোটদের সিলেবাস: কোন বিষয়ে কী বই দেবেন

বলা হয়, শিশুমন হলো একতাল কাদামাটির মতো। তাতে যা খোদাই করে দেবেন, সেটাই স্থায়ী হয়ে যাবে। কথাটা কিন্তু একশো ভাগের চেয়েও বেশি সত্য। ছোট্ট একটা বাচ্চাকে যা শেখানো হবে, যে পদ্ধতিতে তাকে বড় করা হবে সেভাবেই সে তার বাকি জীবনটা কাটাবে। যদি আল্লাহ কোনো ব্যতিক্রম না করেন। যথাযথ পরিচর্যায় ছোট্ট চারাগাছ যেমন পরিণত হয় মহীরুহে, ঠিক তেমনি একটি শিশুও পরিণত হতে পারে যুগের সবচেয়ে বড় ঈমানদার, মুত্তাকী, মুমিন হিসেবে। শুধু প্রয়োজন তাকে যথাযথ শিক্ষা আর প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে বড় করার জন্য সুব্যবস্থা আর একটি চমৎকার সিলেবাস। 

শিশুরা জন্ম নেয় বিশুদ্ধ ফিতরাত নিয়ে। তাদের জন্মই হয় তাওহীদ আর ঈমানের উপরে। এরপর পরিবারের শিক্ষা আর পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে সে বিভিন্ন মতপথের অনুসারী হয়ে যায়। তাহলে এখানে অভিভাবক হিসেবে আপনারা একটা অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছেন। যদি তার বিশুদ্ধ ফিতরাতের সাথে ছোট থেকেই তাকে ঈমান, ইসলাম, সীরাত, কুরআন, হাদীস, আদব ইত্যাদি শিক্ষা দিতে পারেন, তাহলে ইনশাআল্লাহ এই বিশুদ্ধ ফিতরাত পরিণত হবে শক্তিশালী ফিতরাতে। 

এই আর্টিকেলে আমরা তাই তুলে ধরতে যাচ্ছি শিশুদের জন্য সিলেবাসের একটি রূপরেখা। চলুন, দেখে নেওয়া যাক। 

১। ছোটদের ঈমান সিরিজ (১-৬)

শিশুকালই হচ্ছে ঈমানের বীজ বুনে দেবার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। কারণ তখন ফিতরাত থাকে বিশুদ্ধ, মন থাকে পরিষ্কার। শিশুমনে তাই ঈমানের বীজ বুনে দিয়ে সেটার যথাযথ পরিচর্যা করতে পারলে সেই বীজ একদিন পরিণত হবে সুবিশাল বটবৃক্ষে। ফিতনার আঘাতে ভেঙে যাবে না সে, যতোই ঝড় আসুক না কেন ঈমানের শেকড়কে পারবে না মাটি থেকে উপড়ে নিতে। শিশুদের ঈমানের বেসিক শিক্ষা দিতে তাই দরকার শিশুদের উপযোগী ম্যাটেরিয়াল, যার মাধ্যমে তাদের মধ্যে সহজেই গড়ে উঠবে ঈমানের ভিত্তি। এজন্য ৬টি বই নিয়ে ‘ছোটদের ঈমান সিরিজ’ হতে পারে দারুণ একটি উপকরণ। ঈমানের সবল ভিত গড়ে দিতে এই সিরিজটি খুবই কার্যকর হতে পারে আল্লাহর ইচ্ছায়। ২৪ পৃষ্ঠা করে প্রতিটি বইয়েই আছে চমৎকার কিছু গল্প, যেগুলো দিয়ে সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে আল্লাহ, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, নবী-রাসূল, আখিরাত ও তাকদীর বিষয়ে ঈমানের আলাপ। সাথে থাকছে একটি এক্টিভিটি বুক, যেখানে শিশুরা লিখে রাখতে পারবে তাদের শেখার বিষয়। ওহ হ্যাঁ, গল্পের সাথে প্রতিটি বইয়েই থাকছে চমৎকার সব ছবি। 

২। আমার সিরাত পাঠ (৩ খণ্ড)

কুরআন শিক্ষার সূচনাটা ছোট থাকতেই হয়ে যায়। কায়দা থেকে সিফারা, তারপর আমপারা হয়ে কুরআন। কিন্তু কুরআন শুধু তিলাওয়াতেই সীমাবদ্ধ থেকে যায় অধিকাংশ বাচ্চা। তাদেরকে যদি কুরআনের সাথে সীরাতের শিক্ষাটা দেওয়া যায়, তবে দেখবেন কুরআন তিলাওয়াত করা এবং কুরআনের অনুসরণের প্রতি তাদের আগ্রহ ইনশাআল্লাহ বেড়ে যাবে। তাছাড়া কুরআন বুঝতে হলে, মানতে হলে সীরাত জানার ও শেখার কোনো বিকল্প নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনটাই তো সমগ্র কুরআন। শিশুদের জন্য সীরাতের অসাধারণ জগতটাকে তাদের মনের মতো করে তুলে ধরতে আপনারা দেখতে পারেন ৩টি বই ‘আমার সিরাত পাঠ’ সিরিজটা। সুন্দর ইলাস্ট্রেশন, ছবি, বাঁধাই আর সুন্দর ভাষায় লেখা দারুণ এই তিনটি বই আপনার শিশুর সীরাতের সাথে পরিচয়কে করবে সুন্দর, উপভোগ্য ও আনন্দের। 

৩। ছোটদের সাহাবি সিরিজ (১ম থেকে ৫ম খণ্ড)

ইসলামের আদলে গড়ে তুলতে চাইলে ছোট বয়সটাই সবচেয়ে পারফেক্ট। এই বয়স থেকে তারা যত বেশি ইসলামকে জানবে, তত বেশি তাদের মধ্যে ইসলামের মধ্যে অনুরাগ সৃষ্টি হবে। তাদের সাথে আমরা অনুসরণীয় সঠিক মানুষের পরিচয় করিয়ে দেই না বলেই তারা পরিচিত হয় ভুল মানুষদের সাথে। তারা ভক্ত হয় হিন্দু দেবতার বা কাল্পনিক সুপারহিরোদের অথবা বাজে কিছু কার্টুনের। তাই বড় হলে ইসলামের অনুশাসন আর তাদের ভালো লাগে না। তারা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মানতে চায় না। তাই শিশু বয়সেই তাদের হাতে তুলে দিন সাহাবীদের জীবনী। তারা জানুক তাদের উত্তরসূরীরা একেকজন কি অসাধারণ মানের মানুষ ছিলেন। সত্যিকারের সুপারহিরো যে এই মানুষেরাই ছিলেন, এটা তারা বুঝতে শিখুক। মনমগজে লালন করুক সাহাবীদের মতোই অসাধারণ, অনন্য হয়ে ওঠার স্বপ্ন। আর এই লক্ষ্য নিয়ে তাদের হাতে তুলে দিন ‘ছোটদের সাহাবি সিরিজ’। ৫ জন সাহাবীর প্রেরণাদায়ী গল্প নিয়ে ৫টি বই থাকছে এই সিরিজটিতে। বইয়ের পৃষ্ঠাগুলো তো অবশ্যই রঙিন থাকছে, সাথে বইয়ের টেক্সটও থাকছে রঙিন। সুন্দর ছবি, রঙ আর সাহিত্যিক লেখার মিশেলে সাহাবীদের সাথে আমাদের সন্তানদের পরিচয় করিয়ে দিতে এই সিরিজটি হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ।  

৪। ছোটদের তাফসীরুল কুরআন (১-৫)

কুরআন তিলাওয়াত শেখার পাশাপাশি যদি কুরআনের অর্থটাও শেখানো যায়, তবে সেই তিলাওয়াত হবে আরো বেশি কার্যকর। কুরআন তখন ছোট শিশুর কচিমনে বসে যেতে শুরু করবে ইনশাআল্লাহ। তাদের জন্য সহজ ভাষায় কুরআনের তাফসীর নিয়ে আপনারা এখন পাচ্ছেন ‘ছোটদের তাফসীরুল কুরআন’ নামে ৫ খণ্ডের সিরিজ। কুরআনের ঘটনাগুলো ছোটবড় যে কারো জন্যই অত্যন্ত কৌতুহলোদ্দীপক। তারা যদি কুরআনের এই গল্পগুলো শোনে, এগুলো সম্পর্কে জানে তাহলে কুরআনের সাথে তাদের সম্পর্ক এমনিতেই বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ। গল্পের মাধ্যমে শিশুদের শেখানোটা সহজ। তার উপর সেটা কুরআনের গল্প হলে তো কথাই নেই। এই সিরিজের বইগুলোতে ঠিক এই জিনিসটাই পাবেন—গল্পে গল্পে কুরআনের তাফসীর। গল্পে গল্পে তাদের শেখা হয়ে যাবে কুরআনের উনিশটি গুরুত্বপূর্ণ সূরার মজার মজার ঘটনা ও শিক্ষা। প্রতিটি গল্পের সাথেই থাকছে আকর্ষণীয় সব ছবি, যা তাদের গল্পের আনন্দকে বাড়িয়ে দেবে আরো অনেকখানি বেশি। 

৫। হাদীস শিখি ইউশার সাথে

ইউশার সাথে সাথে যদি আমাদের সোনামণিরাও ছোট ছোট বেশ কিছু হাদীস মুখস্থ করে ফেলে, তাহলে খুব ভালো হয় না? ওহহো, আপনাদের তো ইউশার সাথে পরিচয়ই করিয়ে দেওয়া হলো না! ইউশা মোটামুটি একটু বড় হয়েছে, কিন্তু ছোটবেলায় ও বেশ কিছু হাদীস শিখে ফেলেছে। ওর সাথে বিভিন্ন ঘটনার সূত্রে আপনার সোনামণিও কিন্তু শিখে ফেলতে পারে সহজ সহজ বেশ কিছু হাদীস। অনেকেই ভাবতে পারেন এই বয়সে হাদীস শেখানো যাবে কিনা বা দরকারটাই বা কি। হাদীস হচ্ছে প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা। হাদীসের বাণী শেখানো মানে রাসূলের সাথে তার সরাসরি যোগাযোগ ঘটিয়ে দেওয়া আর সেজন্য ছোটকালের চেয়ে আর ভালো সময় কোনটা বলুন? এই সময় থেকেই সে যদি ইলমে হাদীসের সাথে পরিচিত হয়, এই সময় থেকেই যদি তার মধ্যে হাদীসের প্রতি ভালোবাসা গড়ে উঠে, তবে এর চেয়ে অসাধারণ কিছু কি আর হতে পারে? তাই রাসূলের সাথে, রাসূলের হাদীসের সাথে তাদেরকে যোগাযোগ করিয়ে দিতে, তাদের মধ্যে এর ভালোবাসার জন্ম দিতে এখনই তাদেরকে হাদীস শেখান। ‘হাদীস শিখি ইউশার সাথে’ বইটি সে জন্য বেশ পারফেক্ট একটি বই হতে পারে, ইনশাআল্লাহ।  

৬। ছোটদের আদব সিরিজ

আমরা প্রায়ই শিশুদের সেরা হবার জন্য উৎসাহিত করে থাকি। তাদেরকে পড়ালেখায় সেরা হতে হবে, খেলাধুলায় সেরা হতে হবে এবং আরো অনেক কিছুতেই সেরা হবার জন্য আমরা তাদের উৎসাহ দিয়ে থাকি। আসলে সেরা হতে চাওয়া মানুষের খুব পছন্দের কাজ। কিন্তু সত্যিকার অর্থেই সেরা হতে হলে আগে আদবের দিক দিয়ে সেরা হতে হবে। কারণ আদব ছাড়া যত দিকেই সে সেরা হোক না কেন, আদবের অভাবে বাকি সবকিছু ব্যর্থ হতে বাধ্য। আগে আদব, তারপরে ইলম। আমাদের সালাফরাও এভাবেই শিখতেন। আদব ছাড়া যেকোনো কিছু শিখলে তার বদহজম হতে বাধ্য। ছোটবেলা থেকেই আমাদের সন্তানদের সুন্দর আদব-আখলাকে বড় করতে হলে এজন্য যথাযথ তারবিয়াতের কোনো বিকল্প নেই। আর এজন্য আপনাদের সহায়ক হতে পারে ‘ছোটদের আদব সিরিজ’। এই সিরিজে থাকছে ৬টি বই, যার প্রতিটিতে বিভিন্ন ধরনের আদব শেখানো হয়েছে। সালাম ও সাক্ষাতের আদব, আল্লাহর সাথে আদব, ইলম শেখার আদব, পোশাক ও পবিত্রতার আদব, ঘুম ও খাওয়ার আদব, খেলাধুলা ও আনন্দ করার আদব—এই ছয় বিষয়ে ছয়টি বইয়ে শিশুদের আদবের পাঠ দেওয়া হয়েছে। মনকাড়া রঙিন সব ছবিতে ভরপুর প্রতিটি বইয়ে আছে ২৪টি করে পৃষ্ঠা। কোথাও জটিল শব্দ-বাক্যের ব্যবহার করা হয়নি। আদবের পাঠ দিতে ব্যবহার করা হয়েছে গল্পের মাধ্যম। তাই সে গল্পের আনন্দের মধ্যেই নিজের অজান্তেই শিখে নেবে আদবের পাঠ আর সেইসাথে আরো শিখবে অনেকগুলো হাদীস। একের ভেতরে দুই বলা চলে এই সিরিজটিকে, আদবের শিক্ষা সাথে হাদীসের পাঠ। 

৭। গল্পে গল্পে জীবন সাজাই

গল্পের বই পড়া খুব চমৎকার একটি অভ্যাস। তবে গল্পটা যদি হয় ভালো, তবেই অভ্যাসটাকেও ভালো বলা চলে। বিশেষ করে ছোটরা তো গল্প পড়তে, শুনতে খুবই ভালোবাসে। গল্পের মাধ্যমে এজন্য ওদের যে কোনো কিছু শেখানোটাও খুব সহজ হয়ে যায়। গল্পের মাধ্যমে যেমন খারাপের শিক্ষাও পাওয়া যায়, সেভাবে গল্পের মাধ্যমেই ওদের ছোট্ট মনে গেঁথে দেওয়া যায় সত্য ও সুন্দরের কথামালা। ছোটকালে পড়া গল্পের প্রভাব থাকে সারাজীবন। ঈমান ও ইসলামের শিক্ষা, এর মাধুর্য এই সবকিছু গল্পের মাধ্যমে শেখা একটি ছোট্ট শিশুর সারাজীবনের সম্পদ হতে পারে। সেজন্য আপনাদের সন্তানদের জন্য আমরা সাজেস্ট করবো দারুণ একটি গল্পের বই ’গল্পে গল্পে জীবন সাজাই’। শিশুতোষ এই গল্পের বইয়ে আছে ২৩টি গল্প, যার প্রতিটিতে রয়েছে জীবনকে সাজানোর খোরাক। আজেবাজে, অর্থহীন গালগল্প না পড়ে এই গল্পগুলো পড়লে আপনার সন্তান গল্পের আনন্দ তো পাবেই, সাথে পেয়ে যাবে জীবনের মূল শিক্ষা। সে শিখবে ঈমান, ইসলাম, তাকওয়া, আদব এবং এরকম অনেক মূল্যবান শিক্ষা। প্রতিটি গল্পের সাথেই লেখক যুক্ত করে দিয়েছেন সেই গল্প থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা, যা তার জন্য ভালোর পাঠ গ্রহণকে আরো সহজ করবে ইনশাআল্লাহ। 

৮। আমার দুআ আমার যিকর [ফ্ল্যাশকার্ড]

প্রতিদিনের জীবনে সবচেয়ে সহজে যে আমলগুলো করা যায় সেগুলো হচ্ছে দুআ ও যিকর। সহজ কিন্তু অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ এই আমলে অভ্যস্ত হবার জন্য ছোটবেলা থেকেই ট্রেনিং দেওয়া খুব দরকার। বাচ্চারা যাতে বুঝতে শেখে সবকিছু আল্লাহর থেকেই চেয়ে নিতে হয়। তারা যাতে বুঝতে পারে তাদেরকে সবকিছু দেন আল্লাহ, তিনিই সবকিছুর মালিক। ছোটবড় সবক্ষেত্রেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে অনেক দুআ-যিকর শিক্ষা দিয়েছেন। সেগুলো শিখে নিলে শিশুরা সবসময় আল্লাহর আশ্রয়ের মধ্যে থাকবে, আল্লাহর সাথে তাদের সম্পর্ক ছোট থেকেই মজবুত হতে শুরু করবে। তাছাড়া ছোট ছোট শিশুদের মুখে মধুর সুরে দুআ-যিকর শুনলে মনটা ভরে যায়। তাদেরকে মাসনুন দুআ ও যিকর শেখানোর জন্য ফ্ল্যাশকার্ড দারুণ একটি মাধ্যম। একেবারে অল্প বয়সী শিশুদের জন্য ফ্ল্যাশকার্ডে দুআ-যিকর শেখানোর চমৎকার একটি আয়োজন এখন আপনারা পাচ্ছেন ‘আমার দুআ আমার যিকর [ফ্ল্যাশকার্ড]’-এ। শিশুদের জন্য দুআ ও যিকর শেখাকে আনন্দায়ক করতে করা হয়েছে রঙিন ছবির ব্যবহার। সুন্দর একটি বক্সে ১৬টি ফ্ল্যাশকার্ডে ছোট্ট বাবুরা শিখে নিতে পারবে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ২৪টি দুআ। আরবির সাথে থাকছে বাংলায় উচ্চারণ ও অর্থও। বাবা-মায়ের সহায়তায় খুব সুন্দরভাবেই তারা ইনশাআল্লাহ শিখে নিতে পারবে মূল্যবান এই দুআগুলো এবং সাথে তাদের সুন্দর সুন্দর অর্থও।

তো অভিভাবক মহল! আপনাদের জন্য এই ছিল আমাদের আজকের আয়োজন। আমরা চেষ্টা করেছি শিশুদেরকে প্রকৃত অর্থে মানুষের মতো মানুষ বানানোর জন্য কিছু সুন্দর ও উপকারি বই সাজেস্ট করতে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে এই আয়োজন এবং এই বইগুলো দিয়ে আপনারা তৈরি করবেন আপনাদের আদরের সন্তানদের মানুষ বানাবার সিলেবাস। আল্লাহ আমাদের চিন্তা, প্রচেষ্টা ও উদ্যোগকে কবুল করে নিন। আমীন। 

Comments

One response to “ছোটদের সিলেবাস: কোন বিষয়ে কী বই দেবেন”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *