আখিরুযযামান: শেষ যামানার প্রস্তুতি

বিভ্রান্তির জালে ঘেরা এক যুগে বসবাস করছি আমরা। চারিদিকে ছড়িয়ে আছে মিথ্যা আর ধোঁকার মোহনীয় টোপ, তাদের প্রবল টানে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাচ্ছে অসহায় বনী আদম। সোজা-সরল পথ ভুলে মানুষই কেবলই চলে যাচ্ছে ভুল পথে, এক ভুল থেকে আরেক ভুলে, ছোট ভুল থেকে বড় ভুলের দিকে।

সময়টা এখন রক্তের, ধ্বংসের আর প্রবল ফিতনার। ফিতনায় ছেয়ে গেছে আমাদের আকাশ, ঘনীভূত মেঘের মতো ধেয়ে আসছে আমাদের দিকে। রক্তলাল চেহারা নিয়ে, কখনো বা মধুর চেহারার নিচে শয়তানি লুকিয়ে আমাদেরকে ক্রমশই গ্রাস করে নিচ্ছে ফিতনা। সাগরের তীব্র স্রোতের মতোই কূলে আছড়ে পড়ছে একের পর এক ফিতনার ঢেউ। এমন কোনো ঘর বাকি নেই যেখানে ফিতনা তার সর্বগ্রাসী চরিত্র নিয়ে আঘাত হানেনি।

ফিতনার এই মহাপ্রাবল্য, এই দু’কূল উপচে পড়া ফিতনার স্রোত আমাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছে এক অশনিসংকেত। কোথাও যেন কোনো পাগলাঘণ্টি প্রাণপণে বাজছে, চিৎকার করে জানিয়ে দিতে চাইছে যে সময় প্রায় শেষ! এই মহাবিশ্বের শেষ সময়টি ঘনিয়ে এলো বলে!

হ্যাঁ প্রিয় পাঠক, আমরা আজ বেঁচে আছি মানব ইতিহাসের এমন এক অস্থির মুহূর্তে, যখন বেলায় বেলায় ঘনিয়ে এসেছে শেষ বিকেলের রোদ। পৃথিবী আজ চলে এসেছে তার শেষের সময়টুকুতে, অন্তত আলামতগুলো দেখে আমরা সেটা অনায়াসে বলতে পারি। শেষ যামানা বা আখিরুযযামান নিয়ে তাই আমাদের নড়েচড়ে বসা উচিত। ঠিক বসা উচিত না আসলে, এটা তো বহু আগের কাজ ছিল। এখন আসলে আমাদের দ্রুত ধাবিত হওয়া উচিত করণীয়ের দিকে।

সময় কিন্তু খুব কম, আর বেশি সুযোগ পাওয়া যাবে না। বেলা ফুরিয়ে আসছে ক্রমশই, আর যতোই সময় যাচ্ছে উত্তাল হয়ে উঠছে সাগরের ঢেউ। প্রচণ্ড তাণ্ডবে ফুঁসে উঠছে ফিতনার ঢেউ, খেলনার মতো লোফালুফি করছে আমাদের নিয়ে। কিংবা যেন তসবিহর দানার মতো ঝরঝর করে ছিড়ে পড়ছে একের পর এক ফিতনা। একটির ছোবলে নীল হয়ে যাওয়া অংশের চিকিৎসা করতে না করতেই ফণা তুলে দাঁড়াচ্ছে আরো একশটা ফিতনা!

ভয়াবহ, ফিতনাসংকুল এই সময়টায় তাই নিজেকে, নিজের পরিবারকে, নিজের প্রিয়জনদেরকে বাঁচানোর কোশেশটা খুব জরুরি। ফিতনার প্রবল তোড়ে হারিয়ে যেতে না চাইলে, নিজের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়ে যেতে দেখতে না চাইলে আজই, এক্ষুণি প্রস্তুতির কাজে লেগে পড়ুন। ফিতনার আশংকায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মানিত সাহাবী হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বড় পেরেশান হয়ে থাকতেন। এগুলো থেকে বেঁচে থাকার মানসে তিনি আগত ফিতনাসমূহ নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জানতে চাইতেন।

অথচ তখন এই উম্মতের মধ্যে আল্লাহর নবী জীবিত! দেড় হাজার বছর আগে একজন মানুষ আগত ফিতনার ভয়ে এ সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করেছেন, ফিতনার ভয়াবহতা তার অন্তর থেকে আনন্দ আর মুখ থেকে হাসির রেখাকে মুছে দিয়েছে। তিনি যেসব ফিতনার কথা শুনেছিলেন, যেগুলোর ব্যাপারে তিনি জ্ঞান অর্জন করেছিলেন, সেগুলোর অধিকাংশের মধ্যে আজ আমাদের বসবাস। অথচ আমরা নির্বিকার! হাসিতামাশায়, মৌজমাস্তিতে কাটছে আমাদের জীবন। ফিতনা আসার আগেই তিনি ফিতনার ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পেরে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন আর আমরা, তাঁর উত্তরসূরীরা ফিতনার চোরাস্রোতে দিনরাত ডুবন্ত থেকেও কি নিশ্চিন্ত মনেই না দিন গুজরান করছি!

কোন কারণে, কার ভরসায় এতো নিশ্চিন্ত হয়ে আজ আমরা বেঁচে আছি, কেউ বলতে পারবেন কী?

শেষ যামানার জন্য প্রস্তুতি কেন নিতেই হবে?

শেষ যামানার জন্য প্রস্তুত তো আপনাকে হওয়া লাগবেই। এই প্রস্তুতি না নিয়ে চুপচাপ বসে থাকার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। কেন? শেষ যামানায় এমন কী ঘটবে যে আমাকে প্রস্তুতি নিতেই হবে?

শেষ যামানার জন্য প্রস্তুতি আপনাকে নিতেই হবে, যদি আপনি –

১। আপনার ঈমান বাঁচাতে চান। হাদীসে এই সময়ের আগত ফিতনাকে অন্ধকার রাতের মতো ঘনায়মান ফিতনা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই অন্ধকারে যদি হারিয়ে যেতে না চান, যদি নিজের দুনিয়া আখিরাত সবকিছু খুইয়ে ফেলতে না চান, তবে প্রস্তুতি নিন। এখনই!

২। দাজ্জালি সভ্যতার করালগ্রাস থেকে রেহাই পেতে চান। দাজ্জাল এখনো আসেনি, কিন্তু তার অনুসারীদের দখলে চলে গেছে পুরো বিশ্ব। ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্র, সবখানেই তাদের কালো ছায়ার বিস্তার। এই ভয়াল সময়ে যদি আপনি তাদের চক্রান্তের ব্যাপারে, তাদের অপচেষ্টার ব্যাপারে সতর্ক না হোন, তবে এ ফিতনায় আপনি ভেসে যাবেন। শেষ যামানার এই সময়ে দাজ্জালি কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সচেতনতা ও এগুলো থেকে বেঁচে থাকার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।

৩। ঈমান ও কুফরের লড়াইয়ে ঈমানের শিবিরে থাকতে চান। শেষ যামানা যতো বেশি অতিবাহিত হবে, ততোই বিভাজন রেখা স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হবে। হাদীসে এসেছে মানুষ সুস্পষ্ট দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে যাবে। একটি হবে মুমিনদের শিবির, আর অপরটি হবে কুফর ও নিফাক্বের শিবির। যদি মুমিনদের শিবিরে থাকতে চান তবে এখন থেকেই সেজন্য যথাযথ প্রস্তুতিতে নিজেকে সমৃদ্ধ করে তুলতে হবে।

৪। শেষ যামানার ফিতনা থেকে নিজের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনকে হিফাযত করতে চান। শেষ যামানায় ঈমান নিয়ে টিকে থাকা এতোটা কঠিন হবে যে, হাদীসে এর তুলনা দেওয়া হয়েছে হাতের তালুতে জ্বলন্ত অঙ্গার ধারণের সাথে। এতোটাই কঠিন! এই কঠিনতম সময়ে নিজেকে হিফাযতের পাশাপাশি নিজের পরিবার ও স্বজনদেরও সচেতন করার দায়িত্ব নিতে হবে যাতে তারাও প্রস্তুতি গ্রহণে লেগে পড়তে পারেন।

কীভাবে নেবেন শেষ যামানার প্রস্তুতি?

আশা করি এতোক্ষণে শেষ যামানার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের গুরুত্ব যে কতো বেশি, সেটা আপনাদের সামনে পরিষ্কার হয়েছে। এই উপলব্ধির ঠিক পরেই প্রথম যে বিষয়টি মাথায় হিট করবে সেটা হলো, প্রস্তুতি নিতে হবে তো বুঝলাম, কিন্তু নেব কীভাবে? এই অংশে আমরা এই প্রশ্নটির জবাব নিয়েই কিছু কথা লিখতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

প্রস্তুতি অংশকে আসলে অনেকভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। আমরা এখানে পুরো প্রস্তুতিপর্বকে প্রথমে মোটাদাগে দুটো ভাগে ভাগ করবো এবং পরে সেগুলোর আওতায় বিস্তারিত আলোচনা করতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

শেষ যামানার প্রস্তুতিতে দুটো অংশ থাকা দরকার। একটি হলো চিন্তাগত, অপরটি কর্মগত।

ক) চিন্তাগত: যেকোনো বিষয়েই প্রস্তুতির সূচনাটা হয় চিন্তাগত পর্যায়ে। কারণ চিন্তাই মানুষকে বাস্তব কর্মের দিকে ধাবিত করে। তাই চিন্তার জায়গাটা পরিষ্কার থাকাটা খুব জরুরি। এখানে আমরা এই বিষয়ের অধীনে আরো কিছু বিষয় তুলে ধরছি, যাতে আপনারা সেই মোতাবেক প্রস্তুতি নিতে পারেন।

১। দুনিয়া ও আখিরাতের সকল বিষয়ে কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে চিন্তা করা। নুসুসের মাপকাঠিতেই সকল ঘটনাকে পরিমাপ করা ও সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া। দ্বীনের বাইরে গিয়ে যদি নিজের মতো করে কোনো কিছু আমরা বুঝতে যাই, তবে নিশ্চিতভাবেই আমরা শেষ যামানার প্রস্তুতি থেকে বহুদূরে ছিটকে পড়বো।

২। কুরআন ও সুন্নাহর বুঝ গ্রহণের ক্ষেত্রে এবং এই দুটি উৎস থেকে যথাযথ নির্দেশনা পাওয়ার জন্য সালাফদের অনুসরণ একান্ত জরুরি। সালাফরা যেভাবে দ্বীনকে বুঝেছেন, আমাদের জন্যও সেভাবেই দ্বীনকে বুঝা জরুরি। কারণ তাঁরা ছিলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগের সবচেয়ে কাছের মানুষ। তাঁরা ইসলামকে পেয়েছেন কোনো ধরনের বিকৃতি ও সীমালঙ্ঘন ছাড়াই। তাই তাঁদের অবিকৃত ও বিশুদ্ধ বুঝের অনুসরণের বাইরে গিয়ে নিজ থেকে দ্বীনকে বুঝতে গেলে বিচ্যুতি ও ভ্রান্তি ছাড়া আর কিছুই জুটবে না।

৩। ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র মর্ম অনুধাবন করা ও নিজের মধ্যে সেটা লালন করা। এই বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের চিন্তা ও মননকে এই কালিমার উপর গড়ে তোলা। শেষ যামানার প্রস্তুতিতে তো বটেই, একজন মুসলিম হিসেবে জীবন পরিচালনা করতে হলে এটি অপরিহার্য একটি বিষয়।

খ) কর্মগত: চিন্তাগত ভিত্তির উপর নির্ভর করে কর্মগত প্রস্তুতির পরিকল্পনা নিতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু বিষয় আমরা শেয়ার করছি।

১। দ্বীনের মৌলিক বিষয়াদির জ্ঞান আহরণ করা। এজন্য আলিমদের দ্বারস্থ হওয়া এবং তাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা। তাদের অনুসরণের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি দুটোই পরিহার করা উচিত। দ্বীনি বিষয়ে নিজে পড়াশোনা করা এবং আলিমদের অধীনে থেকেও পড়াশোনা করা। দুটোরই সমন্বয় ঘটা জরুরি।

২। মৌলিক বিষয়ের ইলমের পর শেষ যামানার ব্যাপারে ইলম অর্জন করা। এক্ষেত্রে প্রথমে কুরআন ও সুন্নাহয় এই সময়ের ব্যাপারে যা যা বলা হয়েছে, সেগুলো জেনে নেওয়া। এরপর চলমান ঘটনাবলীকে সেই ইলমের ভিত্তিতে বিচার করা। এক্ষেত্রেও আলিমদের থেকে সাহায্য গ্রহণ করা।

৩। শেষ যামানায় ফিতনা যে সর্বগ্রাসী হবে, সেটা আমরা আগেই বলেছি। ইসলাম আমাদেরকে এই নির্দেশনা দেয় যে আমরা যাতে ফিতনায় অংশগ্রহণ না করি। বরং ফিতনা থেকে দূরে দূরে থাকি, কোনোক্রমেই যেন ফিতনায় না জড়িয়ে যাই। এমনকি এজন্য যদি স্থানত্যাগ করতে হয়, তবে সেটাই যেন করি। ফিতনাকে সবরকমে এড়িয়ে চলি।

৪। বেশি বেশি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা। হাদীসে এসেছে এই সর্বগ্রাসী ফিতনার কালে যে ব্যক্তি পানিতে ডুবন্ত ব্যক্তির মতো আল্লাহর কাছে আশ্রয় পাবে, সে এই ফিতনা থেকে বেঁচে থাকতে পারবে।

৫। ঘরের বাইরে অপ্রয়োজনে অবস্থান না করা। ফিতনা থেকে বাঁচতে হাদীসের নির্দেশনার মধ্যে এটিও একটি। কারণ যতো বেশি আমরা বাইরে অবস্থান করবো ততো বেশি আমরা ফিতনাময় পরিস্থিতি ও স্থানের সংসর্গে থাকবো।

৬। সাদাসিধে জীবনযাপনে নিজেকে অভ্যস্ত করা। খাবার, পোশাক ও চলাফেরায় বাহুল্য ত্যাগ করা। স্বাস্থ্যকর ও সহজ জীবনে নিজেকে অভ্যস্ত করে তোলা।

৭। নিজের যবান ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সংযত রাখা। বিশেষ করে যবান। কারণ শেষ যামানায় চতুর্মুখী ফিতনার আগুনে যবান যে কী মারাত্মক ভূমিকা রাখতে পারে, তা কল্পনাও করা যায় না।

৮। মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্টকারী যেকোনো কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা। সম্ভব হলে অন্যকেও বিরত রাখা। অন্তত এরকম কাজে কাউকে সহযোগিতা না করা।

৯। তাড়াহুড়া পরিহার করা। যেকোনো পরিস্থিতিকে সঠিক ইলমের মাধ্যমে যাচাই করা এবং তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

১০। শেষ যামানার প্রস্তুতি সম্পর্কে কাছের মানুষজনকে যথাসম্ভব সতর্ক করা। হিকমাহর সাথে তাদের সামনে কুরআন-হাদীসের ইলম ও বাস্তবতা উপস্থাপন করা। তর্কবিতর্ক পরিহার করা এবং সহজভাবে দাওয়াহ পৌঁছিয়ে দেওয়া।

এখানে আমরা মোটামুটিভাবে কিছু পরামর্শ দেবার চেষ্টা করলাম। প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্রে এই কয়টা কাজই যে যথেষ্ট বা এগুলোই যে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি, এমন নয়। আরো অনেক বিষয়ই আছে, তবে আমরা এখানে অল্প কিছু বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। যাতে এ বিষয়ে আপনারা অন্তত সচেতন হন, নিজেদের মধ্যে তাগিদ অনুভব করেন। শেষ যামানার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা আমাদের দ্বীন ও দুনিয়া, দুটোকেই হিফাযত করার জন্য আবশ্যক। শেষ সময়টাতে আমরা অলসভাবে শুয়েবসে থেকে নিজেদের দ্বীন তো রক্ষা করতে পারবোই না, দুনিয়াটাও হারিয়ে বসবো। তাই সময়ের জোর দাবি হলো, এই প্রস্তুতির বিষয়ে আমরা যদি জ্ঞান না রাখি তবে এখন থেকেই সেই জ্ঞান অর্জনে সচেষ্ট হবো এবং অর্জিত জ্ঞানের ভিত্তিতে বাস্তব প্রস্তুতি গ্রহণে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যাবো।

আল্লাহ আযযা ওয়া জাল শেষ যামানার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণে আমাদের সাহায্য করুন। এই সময়ের ফিতনার করালগ্রাস থেকে তিনি আমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে হিফাযত করুন। আমীন।

শেষ যামানার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়ক কিছু বই –

১। ফিতনার যুগে করণীয়
২। ফিতনার যুগে মুক্তির পথ
৩। ফাহমুস সালাফ : দ্বীন বোঝার কষ্টিপাথর
৪। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
৫। চিন্তার পরিশুদ্ধি


by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *