এপ্রিল ২০২২ এর বেস্ট সেলিং ২০টি বই

গত এপ্রিল মাসে অনেক বই পাঠক-জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আসুন জেনে নিই এর মধ্যে বেস্ট সেলিং ২০টি বইগুলোর নাম এবং সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

এবার ভিন্ন কিছু হোক

লেখক: আরিফ আজাদ

প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত। মাঝে মাঝে আফসোস লাগে—এভাবে একটা জীবন চলতে পারে? এভাবেই কি ক্ষয়ে যাওয়ার কথা আস্ত একটা জীবন?

জীবনে একটা বদল প্রয়োজন, একটা পরিবর্তন ভীষণ জরুরি—তা আমরা জানি। কিন্তু কীভাবে শুরু করবো? ঠিক কোথা থেকে যাত্রা করবো নতুন এক দিনের? কীভাবে মেলে ধরবো নিজের সবটুকু সম্ভাবনা? কীভাবে পেছনে ফেলে আসবো সকল ব্যর্থতা? যে অন্ধকারে হারিয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছি নিজেকে, কীভাবে সেখানে ঘটবে আলোর স্ফুরণ?

একটা নতুন ভোরে, দখিনের জানালার পাশে বসে কিংবা পছন্দের কোনো জায়গা আর সময়-সুযোগ বুঝে খুলে বসতে পারেন ‘এবার ভিন্ন কিছু হোক’ বইটি। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর পাবার আশায় আপনি চাতক পাখির মতো তাকিয়ে, হৃদয়ের উঠোনে যে এক পশলা ঝুম বৃষ্টির প্রতীক্ষায় আপনি গুনে চলেছেন অজস্র প্রহর, ইনশাআল্লাহ বইটি আপনাকে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তগুলো উপহার দেবে। জীবনের এক নতুন উপাখ্যান রচনায় বইটি হতে পারে আপনার নিত্যদিনের সাথি।

আহ্বান – আধুনিক মননে আলোর পরশ

লেখক: মিজানুর রহমান আজহারি

সৃষ্টিজগতের এমন কোন জিনিস আছে যেখানে স্রষ্টার অপরূপ নৈপুন্যের ছোঁয়া নেই! যেদিকে তাকাই অবারিত সবুজের মায়ায় দেখতে পাই দয়াময় রবের কারুকার্যের হাজারো নিদর্শন। কত বদল আর বৈচিত্র্যে ঠাসা এ চরাচর! যেন প্রভুর পরম আসমানি স্পর্শ লেগে আছে প্রতিটি কোণে। একেক সৃষ্টিকে তৈরি করেছেন একেক ব্যঞ্জনায়। এজন্যই তো অহংকার তাঁর আপন চাদর। আমাদের যত প্রার্থনা ও স্তুতি —সকলই কেবল তাঁকে ঘিরে। তিনিই মানুষকে পাঠিয়েছেন জোড়ায় জোড়ায়; একে অন্যের ভূষণরূপে। আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন উত্তম রিজিকে, প্রখর মেধা আর তারুণ্যের প্রাণোচ্ছল চঞ্চলতায়। ভরসার ছায়া আর অবারিত অনুগ্রহে আগলে রেখেছেন তামাম কুল-কায়েনাত।

এসবেরই স্বচ্ছন্দ ও সুখপাঠ্য পর্যালোচনা হাজির করেছেন বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় দাঈ শায়েখ মিজানুর রহমান আজহারি। সেইসঙ্গে তরুণ প্রজন্মের সামনে পেশ করেছেন সুস্থ-সুন্দর, সময়োপযোগী ও ঈমানদীপ্ত জীবনের নববি চালচিত্র। সময়ের সবুজ সওয়ারিদের আহ্বান করেছেন গৌরবময় সত্যের পথে।

চলুন সে পথের পথিক হতে ছুটে যাই….

রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

লেখক : আবু যারীফ

রাগ নেই এমন মানুষ মেলা ভার। কিন্তু রাগের সময় আমরা ক’জন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি? হলফ করে বলতে পারব, রাগ আমাদের কাবু করে ফেলে না?

‘রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন’ বইতে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল আলোচনা করা হয়েছে। রাগ কেন জাগে, কীভাবে আসে, বৈধ রাগ, রাগ নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষামূলক ঘটনা, উপদেশ সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই বইতে স্থান পেয়েছে।

রাহে বেলায়াত

লেখক : ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

আল্লাহ কুরআনে বলেন, “তোমরা আমার স্মরণ করো, আমি তোমাদের স্মরণ করব”। (বাকারা, ১৫২)

আল্লাহকে স্মরণ করা। অন্যভাবে বললে, তাঁর যিকর করা। এটাই মুমিন জীবনের অন্যতম সম্পদ। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সেরা একটি পথ। মহাশত্রু শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিজেকে রক্ষা করার অন্যতম উপায় আল্লাহর যিকর। দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায় আল্লাহর যিকর। ভারাক্রান্ত মানব হৃদয়কে হিংসা, বিদ্বেষ, বিরক্তি, অস্থিরতা ইত্যাদির মহাভার থেকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় আল্লাহর যিকর।

কিন্তু এই যিকর বিষয়ে আমাদের অজ্ঞতা শেষ পর্যায়। সমাজে এমন অনেক আমলই প্রচলিত আছে, যা আমরা ওযীফার নামে করি কিন্তু আদতে সেগুলো সুন্নাহ দ্বারা সাব্যস্ত নয়। যিকরের উদ্দেশ্য, প্রকার, ধরণ এবং আমল নিয়েই বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) লিখেছেন ‘রাহে বেলায়াত’। এই বইতে একজন পাঠক পাবেন দুআ যিকরের ওপর পূর্ণ গাইডলাইন।

অবাধ্যতার ইতিহাস

লেখক : ডা. শামসুল আরেফীন

যেভাবে আর যে কারণে ধ্বংস হয়েছে পূর্বের অনেক সভ্যতা, যেভাবে মানুষকে বরণ করতে হয়েছিলো আল্লাহর অনিবার্য আযাব—তার আদ্যোপান্ত জানতেই ‘অবাধ্যতার ইতিহাস’ বইটি। কীভাবে আমরা ইউরোপীয় চিন্তাগুলোকে গ্রহণ করে আমাদের দ্বীন ছেড়ে দিয়েছি, তার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে।

এটা কী? সিরিজ (২০টি বই)

লেখক : রেদওয়ান সামী

এই সিরিজে রয়েছে ফুল, ফল; মাছ, পাখি; স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ, আরবি বর্ণমালা, ইংরেজি বর্ণমালা; গণনা; রং পরিচিতি এবং যানবাহন-সহ মোট ২০টি বই। বইগুলো বৈশিষ্ট্য হলো:

🌸 প্রতিটি বইয়ে ২০টি বস্তুর নাম
🌸 প্রতিটি বস্তুর বাংলা নামের সঙ্গে লিখেছি তার ইংরেজি
🌸 এক লাইনের একটি কবিতা; যা পড়ে একটি শিশু বিরক্ত তো হবেই না; বরং আনন্দ পাবে।
🌸 সম্পূর্ণ সিরিজটি সুইডিশ বোর্ডে প্রস্তুত করা, কালার প্রিন্ট

এছাড়া এই সিরিজের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ‘গার্ডিয়ান বুক’। দুই থেকে চার বছরের বাচ্চাদের শেখানোর পদ্ধতি পেয়ে যাবেন এতে।

আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেবো না?

লেখক : শাইখ আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ

আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে প্রিয় নবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবিদের নিয়ে মজলিসে বসতেন। সেই মজলিসগুলোতেই আমাদের দ্বীনের ভিত গড়ে উঠেছিল। সেখানে সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করতেন আর আমাদের প্রিয় নবিজি উত্তর দিতেন। কিন্তু কখনো কখনো নবিজি নিজেই আগ্রহ সহকারে বলতেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে সর্বোত্তম বিষয়টি জানিয়ে দেবো না?’ ‘আমি কি তোমাদেরকে নামাজ-রোযার চেয়েও উত্তম আমলের কথা বলে দেবো না?’ সাহাবিরাও খুব আন্তরিকতার সাথে বলতেন, ‘অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি আমাদের জানিয়ে দিন।’

সেসব হাদীস ও তার শিক্ষা নিয়েই লেখা এই বইটি।

ফাহমুস সালাফ : দীন বোঝার কষ্টিপাথর

লেখক : ইফতেখার সিফাত

ইসলামকে বিকৃত করে পশ্চিমা সভ্যতা ও মতাদর্শগুলোর সাথে সামঞ্জস্যশীল করার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো সালাফে সালেহিনের মুতাওয়ারিস ফাহম। এজন্য পশ্চিমের প্রাচ্যবাদী বিভিন্ন সংস্থাও সালাফে সালেহিনের ফাহমের তিরস্কার করেছে। দীনের এই মুতাওয়ারিস ফাহম ও ইলমকে জড়, আবদ্ধ, পুরাতন, কট্টর ইত্যাদি শব্দে আখ্যায়িত করেছে। তা ছাড়া আমরা দেখব, সমস্ত ভ্রান্ত ফিরকাসহ পশ্চিমা সভ্যতা দ্বারা প্রভাবিত মডার্নিস্ট স্কলার ও মুসলিম দীনের মুতাওয়ারিস ফাহম ও মানহাজের তোয়াক্কা করে না; বরং তারা বিভিন্ন স্লোগান ও ভ্রান্ত যুক্তির আড়ালে মুতাওয়ারিস এই ধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও গুরুত্বহীন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। ফলে আধুনিক সময়ে সালাফে সালেহিন থেকে প্রাপ্ত মুতাওয়ারিস ফাহম ও মানহাজের ওপর যত প্রকার আঘাত আসছে এবং বিষয়টি কেন্দ্র করে যত প্রকার নৈরাজ্য চালানো হচ্ছে, সেগুলো দমন করার জন্য বিষয়টি উম্মাহর সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা জরুরি। সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই পরিবেশনা।

উমরের সাথে যখন দেখা হলো

লেখক : ড. আদহাম আশ শারকাবি

উমর ইবনুল খাত্তাব⸺মানবজাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। নবিদের বাদ দিয়ে গোটা মানবজাতির দিকে হাত বাড়ালে তার মতো ব্যক্তিত্ব দুয়েকজনের বেশি পাওয়া যায় না। ইনসাফের মূর্তপ্রতীক এই মহান মানুষটির ইসলামগ্রহণ থেকে শুরু করে শাহাদাত পর্যন্ত জীবনপ্রবাহ এত বেশি রোমাঞ্চকর ও বৈচিত্র্যময় যে কখনো তা আপনার কল্পনাকেও হার মানাবে।

হ্যাঁ প্রিয় পাঠক! আপনার হাতের গ্রন্থটি তাঁকে নিয়েই রচিত। তবে অন্যসব জীবনীগ্রন্থের মতো এতে ভারিক্কি আলোচনা নেই। নেই রসকষহীন তথ্যসম্ভারের বিশাল সমাবেশ। প্রখ্যাত আরবি সাহিত্যিক ও গবেষক ড. আদহাম শারকাবি রচিত আমিরুল মুমিনিনের সংলাপধর্মী এক অভিনব জীবনীগ্রন্থ⸺এর বাংলা সংস্করণ⸺‘উমরের সাথে যখন দেখা হলো।’ লেখকের প্রাঞ্জল ও প্রাণবন্ত সংলাপধর্মী পরিবেশনায় এক অভিনব আঙ্গিকে এখানে উঠে এসেছে উমর বিন খাত্তাবের বিস্ময়কর জীবন।

ফাতাওয়ায়ে আলবানী

লেখক : আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ)

বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত সিরীয় আলেম শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী। হাদীস শাস্ত্রে যার অবদান অসামান্য। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তাঁর অনেক বই বাংলায় অনূদিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। আলবানী (রহ.) হাদীসশাস্ত্রে যে বিরাট অবদান রেখেছেন, তা থেকে বাংলাভাষী মুসলিমরা উপকৃত হলেও তাঁর আকীদা, মানহাজ ও ফিকহী অবদান থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আলবানী (রহ.)-এর হাদীসশাস্ত্রের বাইরেও অন্যান্য ইলমী ঝরনা থেকে বাংলাভাষী মুসলিমরা যেন উপকৃত হতে পারে, সে-লক্ষ্যে বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স নিয়ে এসেছে ফিকহ-কেন্দ্রিক ‘ফাতাওয়ায়ে আলবানী’ সংকলন।

ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে

লেখক : মোঃ নূরুল্লাহ হোসাইন

আমরা দিনরাত পরিশ্রম করি নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য। হাড় ভাঙ্গা খাটুনী, এত এত রাতজাগা, ঘামঝরা দিনাতিপাত—এসব কিছুর পেছনে মূল কারণ কিন্তু একটাই, একটু ভালো থাকা, পরিবারকে ভালো রাখা। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন আপনার রোজগার হালাল হচ্ছে কিনা?

নতুন যারা ফ্রিল্যান্সার হতে চাচ্ছেন এবং যারা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছেন, তাদের সবার জন্য ‘ফ্রিল্যান্সিং : হালাল ইনকাম এর খোঁজে” বইটি গাইডবুকের মতো কাজ করবে। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেক বই লেখা হলেও হালালভাবে ফ্রিল্যান্সিং করার বিষয়ে গাইডলাইন নিয়ে এটিই প্রথম বই বাংলাদেশে।

ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য

লেখক : মোহাইমিন পাটোয়ারী

আপনি কি জানেন একফালি কাগজ কিভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ হলো? অর্থনৈতিক বৈষম্য লাগামহীনভাবে বেড়ে যাচ্ছে কেন? আর কেনই বা উন্নত বিশ্ব এত ঋণগ্রস্থ হয়ে যাচ্ছে। প্রশ্নগুলো খুব তাত্ত্বিক এবং বিচ্ছিন্ন বলে মনে হতে পারে। অথবা মনে হতে পারে এগুলো জানা কি আমাদের খুব প্রয়োজন? আসলে প্রশ্নগুলো মোটেও বিচ্ছিন্ন কিংবা তাত্বিক নয়; সম্পূর্ণ জীবন ঘনিষ্ঠ এবং একই সুতোয় গাথা বাস্তবতা। আমাদের জীবনে নিয়মিত গভীর প্রভাব ফেলা এই না-দেখা বাস্তবতাগুলোকে ছোটছোট গল্পের আকারে সাজিয়ে সবার কাছে সহজভাবে তুলে ধরতে রচনা করা হয়েছে এই বই। বইটিতে গ্রন্থাকার আমাদের এই নাজানা বাস্তবতাকেই গল্পের মতো প্রাণবন্ত এবং ছবির ন্যায় রঙিন করে ফুটিয়ে তুলেছেন।

কেয়ামতের আলামত ও ঘটনাপ্রবাহ

লেখক : মাওলানা শাহ রফীউদ্দীন (রহঃ)

আজ থেকে বহু বছর আগে শায়খ শাহ রফিউদ্দিন রহ. ফারসি ভাষায় কেয়ামত বিষয়ক অপূর্ণ একটি পুস্তক রচনা করেন, যার নাম ‘কেয়ামতনামা।’ এতে লেখক কুরআনের আয়াত ও সহীহ হাদীসের আলোকে কেয়ামতের আলামতসমূহ এবং হাশর-নাশর, জান্নাত-জাহান্নামের সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ আলোচনা করেছেন। ফারসি ভাষায় রচিত এ পুস্তিকাটি বর্তমানে দুর্ল্ভ। পরবর্তীকালে ওই পুস্তকটি উর্দু ভাষায় অনূদিত হয় এবং তা মূল পুস্তকের স্থান দখল করে নেয়। মাকতাবাতুল ইসলাম সেই উর্দু অনুবাদকে বাংলায় রুপান্তরিত করেছে।

আমি ও আমার রব

লেখক : নোমান আলী খান

কুরআন নিয়ে বহু তাফসির রয়েছে। রাসূল (সা.) এর জীবনী নিয়েও প্রচুর বই রয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তা’আলাকে নিয়ে স্বতন্ত্র্য বই কম, যদিও আসমাউল হুসনা বা আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নাম নিয়ে বহু বই রয়েছে। এই দিকটি বিবেচনা করে স্বতন্ত্রভাবে আল্লাহ তা’আলার প্রজ্ঞা ও প্রশান্তি এবং আশা ও ভালোবাসা নিয়ে বইটি; যেগুলো জানলে আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে আমাদের সন্দেহ, দ্বিধা দূর হয়ে স্থিরতা ও প্রশান্তির শুরু হবে।

বইটির আলোচনা সৃষ্টি-স্রষ্টার বিষয়ে। সাইকোলজি বিষয়ে; বিশেষত একজন সৃষ্টির মনে স্রষ্টা বিষয়ে যেসব ভুল ধারণা, দ্বিধা, সন্দেহ, অজ্ঞতা ও নিরাশা কাজ করে সেগুলোরই সমাধান।

লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি (ইসলামের হারানো ইতিহাস)

লেখক : ফিরাস আল খতিব

লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি’র ভাষা প্রাঞ্জল ও সহজবোধ্য। ইসলামের ছোঁয়ায় উদ্ভাসিত প্রায় সব জনপদের ইতিহাসের সাথে পাঠকের একটি সামগ্রিক সংযোগ ঘটিয়ে দেয়ার চেষ্টা আছে বইটিতে। পুরো পৃথিবীব্যাপী বিস্তৃত একটি জাতির দেড়হাজার বছরের ইতিহাস মাত্র শ’তিনেক পৃষ্ঠায় খুঁটিনাটিসহ সংকুলান অসম্ভব। এ কারণে লেখক ইতিহাসগ্রন্থের সন-তারিখভিত্তিক বয়ানের গতানুগতিক পদ্ধতি এড়িয়ে ঘটনাপ্রবাহের প্রধান স্রোতকে স্পর্শ করেছেন। এজন্য রাসূলুল্লাহ সা.-এর জীবন, খোলাফায়ে রাশেদীনের শাসনকাল, উপমহাদেশের ইতিহাস ইত্যাদি যেসকল অধ্যায় আমাদের মোটামুটি পরিচিত, সেগুলোর ক্ষেত্রে বইটিকে কিছুটা অপূর্ণ মনে হতে পারে। কিন্তু পরবর্তী সময়ের বিবরণ এবং আফ্রিকা, আমেরিকা কিংবা দূরপ্রাচ্যের মুসলমানদের অজানা ইতিহাস পাঠকদের চমৎকৃত করবে।

মুহস্বানাত (পবিত্র নারীদের পাঠশালায়)

লেখক : আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফর, খন্দকার মারিয়াম হুমায়ুন, বারিয়াহ বিনতে আতিয়ার, শাইখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সায়মা সাজ্জাদ মৌসি

মা-বোনদের পক্ষে বাসার বাইরে বের হয়ে ঘুরে ঘুরে ইলম অর্জন অসম্ভবপ্রায়। নানান বিষয়ের ক্ষেত্রে তাকে সুস্পষ্ট শরঈ জ্ঞান অর্জন রকতে হয়; যেমন- পবিত্রতা, পর্দা, বিবাহ, সন্তান প্রতিপালন, বর্তমান ফিতনার সমাজ, ফেমিনিজম ইত্যাদি। এখানেই শেষ নয়, ইলম অনুযায়ী আমলকে সঠিকভাবে বাস্তবয়ায়নের উদ্দেশ্যে ফিক্বহী বিষয় থেকে বের হয়ে এসে তাকে নানান জীবনমুখী জ্ঞানও অর্জন করতে হয়। মুহস্বানাত বইটি এই বিষয়েই পূর্ণ সিলেবাস।

হিজাব আমার পরিচয়

লেখক : জাকারিয়া মাসুদ, ড. খালিদ আবু শাদি

এই বইয়ে লেখক হিজাবের সরল হিসাব সহজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন কড়ায়-গণ্ডায়। আধুনিকতার মাখনরঙা আঁধার গায়ে মাখা মা-বোনদের জন্য বিশেষ একটি বই। বইটির শব্দ বুননও বেশ প্রাঞ্জল। যেন—কোনো এক বড় বোন, পিঠে মমতার মর্মস্পর্শী পরশ বুলিয়ে বলছেন; বোন আমার, পর্দা তো তোমাকে করতেই হবে আজ কি’বা কাল। মৃত্যুর মঞ্জিলে সাদা কফিনে আপাদমস্তক মুড়ে যাবার আগেই রবের আদেশ মেনে হওয়া কি যায় না হিজাব-আবৃত?

আখলাক সিরিজ (১০টি বই)

লেখক : ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী

‘আখলাক সিরিজ’। গল্পে গল্পে আমরা এই সিরিজে জানবো দশটি সেরা গুণ। এ সব গল্পই শিশুদের পথ দেখাবে। আশা করি, এসব গল্প পড়তে শুরু করলে তারা বদলে যাবে! তাদের চিন্তা বদলে যাবে! অন্ধকার সব দূরে পালিয়ে যাবে! সামনে একে একে উদিত হতে থাকবে আলো আর আলো! সততার আলো! ইনসাফের আলো! মহানুভবতার আলো! আল্লাহর ওপর ভরসা করার আলো! আরও কত্ত আলো!

মনের ওপর লাগাম

লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)

মনের লিমিটলেস খায়েশের উপর লাগাম আঁটার নানান কলাকুশল নিয়ে প্রত্যেক যুগেই বিজ্ঞ আলিমরা তাদের জাতিকে ওয়াজ নসিহত করে গিয়েছেন। এমনি এক আলিম, ইমাম ইবনুল জাওযী রহ., যিনি তাঁর যুগের মানুষদের উদ্দেশ্যে ওয়াজ নসিহত করার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রচনা করেছেন অসংখ্য কিতাব। তাঁর সেই অসংখ্য রচনার ভিতর একটি বিখ্যাত কিতাব হচ্ছে ‘আত-তিব্বুর রুহানী’, বাংলায় যা রূপ নিয়েছে ‘মনের ওপর লাগাম’। বইয়ের ৩০টি অধ্যায়জুড়ে এসব অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচিত হয়েছে।

তুমিও পারবে আরবী ইবারত পড়তে

লেখক : মাওলানা আব্দুর রহিম

আরবী বইপত্র পড়ার ক্ষেত্রে আরবী বাক্য শুদ্ধভাবে পড়া এবং বোঝা কাজটা খুব জরুরী। কিন্তু এই বিষয়ে অনেকেরই দুর্বলতা আছে। নাহু-সরফে পোক্ত না হওয়া, চর্চার অভাব, ইত্যাদি কারণে এই দুর্বলতা দেখা দেয়। ‘তুমিও পারবে আরবী ইবারত’ পড়তে বইটি এই ক্ষেত্রে এই দুর্বলতা কীভাবে কাটিয়ে উঠা যায়, তার পূর্ণাঙ্গ দিক নির্দেশনা দেবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *