১) কুরআনের কথা সরাসরি বুঝতে পারলে সর্বপ্রথম আমাদের নামাজ সুন্দর হবে। আমরা তখন বুঝতে পারব কী পড়ছি, কেন পড়ছি। মুখে উচ্চারিত প্রতিটি আয়াত, দুআ, যিকির তখন বাস্তব মনে হবে, আমাদের হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যাবে। ইমামের পেছনে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। ইমামের তারতীলের সাথে তিলাওয়াতে আপনিও হবেন বিমোহিত।
২) প্রত্যেক রাসূলেরই মুজিযা ছিল, যা দেখে তৎকালীন লোকেরা তাদের ওপর ঈমান আনত। এই মুজিযা তাদের নবুওয়তের প্রমাণ। আর আমাদের শেষ নবীর মুজিযা আল-কুরআন। কিন্তু এর আধ্যাত্মিকতা ততক্ষণ পর্যন্ত অজানাই থেকে যাবে, যতক্ষণ না আমরা এর ভাষা সরাসরি বুঝতে শিখছি। কারণ, কুরআনের প্রধান মুজিযা হচ্ছে এর ভাষা, অলঙ্কার। আর এটা শুধু তরজমা পড়ে বোঝা অসম্ভব।
৩) আল্লাহ্ বলেছেন, এই কুরআন যদি পাহাড়ের ওপর নাযিল করা হতো, তাহলে এটি ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে যেত। (৫৯: ২১)। কুরআনের প্রভাব এতই যে, পাহাড় পর্যন্ত গুড়িয়ে দেয়! সেখানে আমাদের মানব হৃদয়? আল্লাহু আকবার। আমরা যখন সরাসরি কুরআন বুঝতে শিখব, তখন আমাদের অন্তরও বার বার প্রকম্পিত হবে। আল্লাহর ভয়ে শিহরিত হতে বাধ্য হবে। বিনয়ে, ভালোবাসায় টইটম্বুর থাকবে আমাদের অন্তর। মনের ভিতর তখন যে শান্তি অনুভূত হবে, এর সাথে কোনো কিছুরই তুলনা করতে পারবেন না।
৪) কুরআনের প্রতিটি আয়াতের সাথে নিজেকে মেলাতে পারবেন। প্রতিটি সূরায় আবিষ্কার করবেন, যেন স্বয়ং আল্লাহ আপনার সাথে কথা বলছেন। এরকম অভিজ্ঞতা বাংলা তরজমা পড়ার সময় কিছুটা আঁচ করা গেলেও আরবী জানা থাকলে সরাসরি এর অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। কুরআন নিয়ে তখন চিন্তাভাবনা করা, কুরআন থেকে হেদায়েত নেয়া তখন সহজ হয়ে যাবে।
৫) আরবী জানা থাকলে হিফজ করা পানি-ভাতে পরিণত হবে। হ্যাঁ, আপনি যখন আরবী জানবেন, কুরআনের প্রতিটি শব্দ আপনার পরিচিত লাগবে। এর শিক্ষা হৃদয়ঙ্গম করার পাশাপাশি হিফজ করাও সহজ হয়ে যাবে। কুরআনের সাথে আপনার সম্পর্ক হবে আরও নিবিড়, আরও ভালোবাসা মাখা। অল্প সময়ের ব্যবধানে আপনি হয়ে উঠবে কুরআনে হাফিজ ইনশা আল্লাহ্।
কুরআনীয় আরবী শিখতে আজই সংগ্রহ করুন:
বই: আল কুরআনের ভাষা
লেখক : এস এম নাহিদ হাসান
প্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন
পঞ্চম সংস্করণ: ফেব্রুয়ারি ২০২১ (হার্ড কভার)
মূল্য: ২৫% ছাড়ে ৪১২ ৳
অর্ডার করতে ভিজিট করুন: https://www.wafilife.com/?p=175863
Leave a Reply