অধিক ধন-সম্পদ লাভের প্রতিযোগিতায় যখন আমরা মোহাচ্ছন্ন। প্রকৃত সত্যকে ভুলতে চলেছি… তখন কুরআনের যে আয়াতগুলো অনুধাবন করার মাধ্যমে আমরা সঠিক পথে ফিরে আসতে পারি… সুরা: তাকাসুর ক্বারি: মোহাম্মদ মুকিত
রসুল ﷺ যখন বসে ছিলেন তখন একজন লোক এলো। নামায পড়ল এবং নামাযের পর দু’আ করল, “ও আল্লাহ, আমাকে মাফ করে দাও। আমার ওপর দয়া কর।” রসুল সাঃ বললেন, “ওহে আল্লাহর বান্দা, এত তাড়াহুড়ো কীসের। নামায শেষে বসা অবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা কর। যেভাবে তিনি প্রশংসার যোগ্য ঠিক সেভাবেই। এরপর আমার প্রতি দরুদ পাঠ কর। তারপর আল্লাহকে ডাক।” অন্য আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, রসুল সাঃ বলেন, “যখন তোমাদের কেউ দু’আ করে, সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করার মাধ্যমে শুরু করে… …এরপর রসুল সাঃ এর প্রতি দরুদ পাঠ করে এবং অবশেষে সে যা চায় তা-ই চাইতে পারে।” কিছুক্ষণ পর আরেকজন লোক এসে নামায পড়ল। নামায শেষে আল্লাহর প্রশংসা বর্ণনা করল এবং রসুলের সাঃ প্রতি দরুদ পাঠ করল। তখন রসুল সাঃ বললেন, “ও আল্লাহর বান্দা, আল্লাহর কাছে চাও। তিনি তোমার দু’আ কবুল করবেন।” রসুল সাঃ বলেন, “সকল দু’আই ফিরিয়ে দেওয়া হয় যতক্ষণ পর্যন্ত রসুলের সাঃ প্রতি দরুদ পেশ করা না হয়।” রেফারেন্সঃ আত-তিরমিযিঃ ৩৪৭৬, ৩৪৭৭, সহিহ আত-তিরমিযিঃ ২৭৬৫, ২৭৬৭), সহিহ আল-জামিঃ ৪৩৯৯ ও আল্লাহ, আমাদেরকে তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার এবং তোমার কাছে বেশি বেশি দু’আ করার তৌফিক দাও। যেভাবে তুমি কবুল করবে সেভাবেই। আমিন!
জীবনে ভালো-খারাপ যা-ই হোক সবসময় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর। আমরা বেশির ভাগ মুসলিমরাই মনে করি, আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা আসে শুধু কষ্টের মাধ্যমে… অথচ আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “আমি তোমাদের মন্দ ও ভালো (এ উভয়) অবস্থার মধ্যে ফেলেই পরীক্ষা করি।” [সুরা আল আম্বিয়াঃ ৩৫] রসূল বলেছেনঃ “কতোই না চমৎকার মুমিনদের এই অবস্থা, তাদের জন্য সবকিছুই ভালো হয়… তাদের সাথে যদি ভালো কিছু হয় তারা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হয় (এর বিনিময়ে আল্লাহ তাদের পুরস্কৃত করেন)। এটা তাদের জন্য ভালো।… আর যদি তাদের সাথে খারাপ কিছু হয়, তারা ধৈর্যধারণ করে (এর বিনিময়ে আল্লাহ তাদের পুরস্কৃত করেন)। এটাও তাদের জন্য ভালো।” [সহিহ মুসলিম: ২৯৯৯]
এক যুবক তার কামনা-বাসনা থেকে মুক্তির উপায় জানতে একজন শাইখের কাছে গেল। শাইখকে বলল, সে নিজের দৃষ্টির হেফাজত করতে পারে না। এ থেকে মুক্তির উপায় কী? . তখন শাইখ তাকে যে উপদেশ দিলেন…
আল্লাহ তাদের বেশি পরীক্ষা করেন, যাদের তিনি বেশি ভালোবাসেন। . রসুল ﷺ বলেছেন, ‘সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা থেকেই সবচেয়ে বড় পুরষ্কার আসে। যখন আল্লাহ্ কাওকে ভালোবাসেন, তিনি তাকে পরীক্ষা করেন। যে পরীক্ষাগুলো মেনে নেয়, সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে। আর যে অভিযোগ করে, সে তাঁর ক্রোধের পাত্র হয়।” [তিরমিযি ২৩৯৬, ইবন মাজাহ ৪০৩১; (সহিহ)]