|| লাইলাতুল কদরের আলামত ||
.
প্রথম আলামত:
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযি.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (ﷺ) বলেছেন,
وَأَمَارَتُهَا أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فِي صَبِيحَةِ يَوْمِهَا بَيْضَاءَ لاَ شُعَاعَ لَهَا
‘…ঐ রাতের আলামত বা লক্ষণ হলো, রাত শেষে সকালে সূর্য উদিত হবে তা উজ্জ্বল হবে। কিন্তু সে সময় (উদয়ের সময়) তার কোন তীব্র আলোকরশ্মি থাকবে না (অর্থাৎ দিনের তুলনায় কিছুটা নিষ্প্রভ হবে)। [সহীহ মুসলিম, ১৬৭০ (ই.ফা. ১৬৫৫, ই.সে. ১৬৬২)]
.
দ্বিতীয় আলামত:
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, নবীজি () বলেছেন,
لَيْلَةٌ طَلْقَةٌ، لَا حَارَّةٌ وَلَا بَارِدَةٌ، تُصْبِحُ الشَّمْسُ يَوْمَهَا حَمْرَاءَ ضَعِيفَةً
‘লাইলাতুল কদরের রাতটি হবে প্রফুল্লময়। না গরম, না ঠাণ্ডা। সেদিন সূর্য উঠবে লালবর্ণে, তবে দুর্বল থাকবে।’
[সহীহ ইবনু খুযাইমাহ (২১৯২); আলবানী (সাহীহ বিল শাওয়াহিদ); মুসনাদু আত-তাআলিসি]
.
তৃতীয় আলামত:
উবাদাহ ইবনু সামাত (রাযি.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন,
ليلة القدر في العشر البواقي من قامهن ابتغاء حسبتهن، فإن الله يغفر له ما تقدم من ذنبه، وما تأخر، وهي ليلة وتر تسع أو سبع أو خامسة أو ثالثة أو آخر ليلة
‘লাইলাতুল কদর শেষ দশ রজনীতে রয়েছে। যে এই রাত্রে নিজের (আমলের) হিসাব নিতে দাঁড়াবে, আল্লাহ তাআলা তার পূর্বের এবং পরের পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন। আর এই রাত্রি আছে বেজর রাত্রিগুলোতে: নবম, সপ্তম, পঞ্চম, তৃতীয় এবং শেষ রাত।’ নবীজি আরও বলেন,
إن أمارة ليلة القدر أنها صافية بلجة كأن فيها قمرا ساطعا ساكنة ساجية لا برد فيها، ولا حر ولا يحل لكوكب أن يرمى به فيها حتى تصبح، وإن أمارتها أن الشمس صبيحتها تخرج مستوية ليس لها شعاع مثل القمر ليلة البدر، لا يحل للشيطان أن يخرج معها يومئذ
‘লাইলাতুল কদরের আলামত হচ্ছে, স্বচ্ছ রাত, যে রাতে চাঁদ উজ্জ্বল হবে, আবহাওয়ায় প্রশান্তি (সাকিনাহ) থাকবে। না ঠাণ্ডা, না গরম। সকাল পর্যন্ত (আকাশে) কোনো উল্কাপিণ্ড দেখা যাবে না। সে রাতের চাঁদের মতই সূর্য উঠবে (তীব্র) আলোকরশ্মি ছাড়া। শয়তান সেই সময় বের হয় না।’
[মুসনাদ আহমাদ (২২৭৬৫) মান: হাসান]
.
চতুর্থ আলামত:
তাবারানীতে বর্ণিত, নবীজি (ﷺ) বলেছেন,
ليلَةُ القَدْرِ لَيْلَةٌ بَلْجَةٌ ، لا حارَّةٌ ولا بارِدَةٌ ، ولا يُرْمَى فيها بنَجْمٍ ، ومِنْ علامةِ يومِها تَطلُعُ الشمْسُ لا شُعاعَ لَهَا
‘লাইলাতুল কদর উজ্জ্বল একটি রাত। না গরম, না ঠাণ্ডা। সে রাতে কোনো উল্কাপিণ্ড দেখা যাবে না।’
[তাবারানী (আল-কাবীর); মাজমা’ আল-জাওয়ায়িদ (৩/১৭৯) মুসনাদ আহমাদ। হাদীসটি জইফ, কিন্তু একই অর্থবহ আরেকটি হাদীস থাকায় এটিকে হাসান বলেছেন শায়খ আলবানী (সাহীহ আল-জামিঈ, ৫৪৭২) তৃতীয় আলামতটি দেখতে পারেন]
.
পঞ্চম আলামত:
নবীজি (ﷺ) বলেছেন,
فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ إِنَّهَا لَيْلَةُ سَابِعَةٍ أَوْ تَاسِعَةٍ وَعِشْرِينَ، إِنَّ الْمَلَائِكَةَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ فِي الْأَرْضِ أَكْثَرُ مِنْ عَدَدِ الْحَصَى
‘লাইলাতুল কদর রয়েছে সপ্তম, অথবা নবম, অথবা বিংশ, যে রাতে (পৃথিবীর) নুড়ি পাথরের চেয়ে বেশি সংখ্যক ফেরেশতাগণ জমিনে নেমে আসে।’
[মাজমূ আল-জাওয়ায়িদ (৩/১৭৮); আলবানী (সহীহ আল-জামিঈ, ৫৪৭৩]
Leave a Reply